সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমা দেখতে ভালবাসেন। তা দেখেই বুদ্ধিটা মাথায় এসেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ‘মুন্নাভাই’-এর মতো পরীক্ষায় উতরে যেতে পারলে না সফির করিম। পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন আইপিএস অফিসার। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইতে।
[স্পনসর’ চন্দ্রবাবু সরকার, সিঙ্গাপুর সফরে অন্ধ্রের কৃষকরা]
জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই বড় অফিসার হওয়ার ইচ্ছে ছিল সফিরের। তেমনই ছিল টিভি দেখার নেশা। মালয়লাম ছবি ‘কমিশনার’ দেখে আইপিএস হওয়ার ইচ্ছে জাগে মনে। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছেও যান সফির। ২০১৫ সালে আইপিএস অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন। তবে এরপরই সাফল্যের নতুন খিদে জাগে তাঁর মনে। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (IAS) যোগ দেওয়ার ইচ্ছে জাগে। এর জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষাতেও বসেন তিনি। তিন ধাপের এই কঠিন পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপও উতরে যান। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। কী করেছিলেন তিনি? ঠিক ‘মুন্নাভাই’ সিনেমার আদলেই কানে ব্লু টুথ লাগিয়ে বাইরে থেকে প্রশ্নের উত্তর জেনে নিচ্ছিলেন আইপিএস অফিসার। আর এ কাজে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁরই স্ত্রী। ফোনের ওপারে তিনিই ছিলেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিলেন স্বামীকে।
[প্রেমিককে কাছে পেতে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকার!]
একটি ছোট কন্যাও রয়েছে সফিরের। সরকারি অফিসে ইতিমধ্যেই বেশ উঁচু পদে রয়েছেন। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও চালান। যাঁরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে চান, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন। এত কিছুর পরও পরীক্ষায় এভাবে নকল করার প্রয়োজন পড়ল কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না পুলিশ আধিকারিকরা।
আপাতত হেফাজতে রাখা হয়েছে আইপিএস অফিসারকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকেও। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে।
[দেশের নিরাপত্তায় বড় বিপদ আধার, বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন স্বামী]