সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনও ঘটে। দাদুর সঙ্গে হাঁটি হাঁটি পায়ে দোকানে যাচ্ছিল চার বছরের শিশুটি। তবে দোকান পর্যন্ত আর যাওয়া হল না। মূর্তিমান বিপদ এসে পড়ল শিশুটির মাথায়। অনেকটা আকাশ ভেঙে পড়ার মতো।
দোকানের সামনে যেতে না যেতেই উপর থেকে আছড় পড়ে মদ্যপ যুবক। দোকানটি একটি চারতলা আবাসনের একতলায়। সেই আবাসনের তিনতলা থেকে শিশুর উপরে যেন উড়ে এসে পড়েন মদ্যপ যুবক। এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে শিশুটি। মস্তিষ্কে আঘাত লেঘেছে তার। সেই সঙ্গে মেরুদণ্ড ও পায়ের হাড় ভেঙেছে। আহত শিশুটির নাম ধনেশ্রী। বাড়ি তন্ডিরাপেট এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিকটবর্তী অ্যাপোলো হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে নিচে পড়েও তেমন কোনও চোট পাননি শিবা(৩০)। ধনেশ্রীর উপরে আছড়ে পড়ায় শুধুমাত্র বাঁ পায়ে সামান্য চিড় ধরেছে তাঁর। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে চেন্নাইয়ের তন্ডিরাপেট এলাকায়।
[রাজধানীতে লজ্জা, আট মাসের দুধের শিশুকে ধর্ষণ করল দাদা!]
জানা গিয়েছে, দাদু পি অরুণাগিরির সঙ্গে মুদি দোকানে যাচ্ছিল ধনেশ্রী। আবাসনের বাইরে পা রাখতে না রাখতে তার উপরে আছড়ে পড়েন শিবা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ধনেশ্রী। তড়িঘড়ি তাকে তন্ডিরাপেটের অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে অ্যাপেলোর প্রধান হাসপাতাল গ্রেয়ামস রোডে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগায় ধনেশ্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভারী শরীর পড়ার কারণে শিশুটির মেরুদণ্ড ও পা ভেঙেছে। তাকে আইসিসিইউতে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাবা শ্রীধর ও মা যমুনাদেবীর দ্বিতীয় সন্তান ধনেশ্রী। সাতবছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। নাম যশিকা। পুলিশ জানিয়েছে, ধনেশ্রীর উপরে আছড়ে পড়ায় তেমন চোট পাননি শিবা। শুধু বাঁ পায়ে সামান্য চিড় ধরেছে। ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাই ব্যালকনি থেকে আচমকাই পড়ে যান। ইতিমধ্যেই শিবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধনেশ্রীর বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৮ ধারায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
[দীর্ঘদিন চাকরি নেই, ফ্ল্যাটের জানলা থেকে মরণঝাঁপ যুবকের]