সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চিনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। উত্তরে লাদাখই হোক কিংবা উত্তর-পূর্ব অরুণাচল, কোথাও-ই সীমান্ত নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি দিল্লি ও বেজিং। উত্তর-পূর্ব ভারতে অরুণাচলপ্রদেশকে বরাবরই নিজেদের ভুখণ্ড বলে দাবি করে এসেছে চিন। তাই যখনই তিব্বতী ধর্মগুরুকে দলাই লামাকে ওই রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ভারত, তখনই তার তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। আর এবার খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের অরুণাচলপ্রদেশ সফর নিয়েও আপত্তি জানাল তারা। যুক্তি সেই একই। চিনের বক্তব্য, ভারত-চিন সীমান্তের পূর্ব দিকে অংশটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই ওই বিতর্কিত এদেশের সীমান্তে মধ্যে রয়েছে, সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সফর এলাকার শান্তিরক্ষার পক্ষে সহায়ক নয়।
[নোট বাতিলের লাইনেই জন্ম, এক বছরে কেমন আছে ‘খাজাঞ্চি’?]
ডোকলাম কাণ্ডের পর এখন চিন সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিন কয়েক আগেই চিন সীমান্তে নদজদারির কাজে ইন্ডো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা ITBP-কে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নিজেও চিন সীমান্তে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। কয়েকমাসে আগেই নাথুলায় দুই দেশের সীমান্তে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার অরুণাচলপ্রদেশের চিন সীমান্তে পরিদর্শন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। আর তাতেই আপত্তি তুলেছে চিন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হাও চুনইয়াং বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণাচলপ্রদেশ সফর ঘিরে চিনের অবস্থান খুব পরিস্কার। ভারত-চিন সীমান্তে পূর্ব দিকের অংশটি নিয়ে গণ্ডগোল আছে। তাই ওই বিতর্কিত এলাকার ভারতের কোনও প্রতিনিধির সফরে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’ তাঁর মতে, অযথা বিতর্ক না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট হওয়া উচিত ভারতের।
[পানামার পর প্যারাডাইস পেপার্স লিক, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম ৭১৪ ভারতীয়র]
প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪৮৮ কিমি। এই নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে বিবাদ মেটাকে ইতিমধ্যে ১৯ বার আলোচনা বসেছ দিল্লি ও বেজিং। কিন্তু, সমা্ধান এখনও অধরা।
[গরুর ক্ষতি করার সাহস কারও নেই, হুঁশিয়ারি যোগী আদিত্যনাথের]