সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও স্কুলের শৌচাগারে খুন ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের দেহ। ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাথা ও গলাতেও একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী গুজরাটের ভাদোদরা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই শুরু তদন্ত।
শুক্রবার দুপুরে গুজরাটের ভাদোদরার এক স্কুলে শৌচাগারে গিয়ে চমকে ওঠে ছাত্ররা। তারা দেখে স্কুলের শৌচালয়ে রক্তগঙ্গা বইছে। তারই মাঝে পড়ে রয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্র। খবর পেয়ে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও ফরেনসিক দল। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই আদিবাসী ছাত্রের।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধারাল কোনও বস্তু দিয়ে ওই ছাত্রের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। গভীর ক্ষত রয়েছে ছাত্রের গলায়। পেটেও একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় ওই ছাত্রের। দেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যাগটি স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। ব্যাগটির ভিতর থেকে সাতটি ধারাল অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে লঙ্কা গুঁড়োও।
ঘটনাস্থল থেকে যে ছাত্রের ব্যাগটি উদ্ধার হয়েছে সন্দেহের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সে। তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। একজনই নয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও অনেকে।”
ভাদোদরা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রের খুনের ঘটনা উসকে দিয়েছে গুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্র খুনের স্মৃতি। ওই ঘটনায় জড়িয়েছিল স্কুলেরই এক ছাত্রের নাম। এবারও অভিযোগের তির স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্রের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.