সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খরার জেরে গোটা মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে উঠেছে। লাতুরের মতো অনেক জেলায় জলের জন্য হাহাকার করছেন সাধারণ মানুষ। শিকেয় উঠেছে চাষাবাদও। ঠিক এমন সময় জানা গেল, বকেয়া ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ টাকার জলকর মেটাননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিস-ই। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে কটাক্ষ করেন এনসিপি নেতা জিতেন্দ্র আওয়াদ। দেবেন্দ্র ফড়ণবিস-এর বদলে এই টাকা তিনি পুরসভাকে মিটিয়ে দিতেও চান।
[আরও পড়ুন- বালাকোটের বদলার ছক! পাকিস্তানের লুকোনো সাবমেরিনের খোঁজ পেল ভারত]
বিষয়টি সূত্রপাত হয়, একটি আরটিআই আবেদনকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি মুম্বই পুরসভার কাছে বকেয়া জলের বিল সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন জানান সমাজসেবী শাকিল আহমেদ শেখ। এরপরই জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে নিজের সরকারি বাংলো ‘বর্ষা’-র জলের বিল মেটাননি মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য তাঁকে ডিফল্টারও ঘোষণা করেছে শরিকদল শিব সেনা পরিচালিত পুরসভা। তবে শুধু তিনিই নন, এই তালিকায় নাম রয়েছে মহারাষ্ট্রের ১৮ জন মন্ত্রীরও। সরকারি বাসভবন থেকেও জলের বিল মেটাননি তাঁরা। আর সেই বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
পুরসভা প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে পঙ্কজা মুণ্ডে, সুধীর মুনগান্টিয়ার এবং দিবাকর রাও-এর মতো মন্ত্রীদেরও। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মুনগান্টিয়ারের বাংলো ‘দেবঘরি’-র ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫ টাকা। পরিবহণমন্ত্রী দিবাকর রাওতের বাংলো ‘মেঘদূত’-র একলাখ ৬১ হাজার ৭১৯ টাকা। আর নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী পঙ্কজা মুণ্ডের ৩৫ হাজার ৩৩ টাকা জলের বিল বাকি রয়েছে। এছাড়া জলের বিল না দেওয়ার জেরে ডিফল্টার তালিকায় নাম উঠেছে আশিস শেলার, সুভাষ দেশাই, একনাথ শিন্ডে, চন্দ্রশেখর বভনকুলে ও মাধব জানকার-এর। এছাড়াও ফড়ণবিস সরকারের আরও মন্ত্রীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। আশিস শেলহর, সুভাষ দেশাই, একান্ত শিন্ডে, চন্দ্র শেখর বভনকুলে এবং মাধব জঙ্কারেরও নাম রয়েছে সেখানে। মন্ত্রীদের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে জমা দেওয়া হয়নি রাজ্যের সরকারি গেস্টহাউসের জলের বিলও। বকেয়া ওই টাকার পরিমাণ ১২ লাখ ৪ হাজার ৩৯০।
[আরও পড়ুন- মানবিক প্রধানমন্ত্রী, বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোরীকে ৩০ লক্ষ টাকা সাহায্য মোদির]
এই তথ্য পাওয়ার পরেই পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আবেদনকারী শাকিল আহমেদ শেখ। কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জন্যই মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীরাই যদি সময়ে জলের বিল না মেটান তাহলে, সাধারণ মানুষ কীভাবে জলের বিল মেটাবে? যদি তারা সময়মতো বিল মেটাতে ব্যর্থ হন তাহলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও নেওয়া উচিত।”