সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই তৃণমূলকে একহাত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর। কিন্তু সেই আক্রমণই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে গেল তাঁর দিকে। টুইটারে পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রের বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে।
ত্রিপুরায় বাম শাসনের অবসানের নায়ক হয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই বিজেপি নেতা। তিনিই ওই রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। সেই ব্যক্তিই টুইটে মারাত্মক একটি ভুল করে বসলেন। পশ্চিমবঙ্গে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি বলে টুইটারে দাবি করেন সুনীল দেওধর। গুন্ডামি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে শাসকদলকে কড়া ভাষা আক্রমণ করেন তিনি। কিন্তু সেই মন্তব্যের সঙ্গে তিনি যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, তা নিয়েই তৈরি হয় বিতর্ক। সেই ছবিটিতে ছিল পশ্চিমবঙ্গের একটি মানচিত্র। কিন্তু সেখানে উত্তরবঙ্গের অংশটিতে বিকৃতি চোখে পড়ে। বাংলার মানচিত্র থেকে বাদ পড়ে কোচবিহার ও দার্জিলিং। আর এমন গন্ডোগোল বুঝতে পেরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটি টুইটার থেকে মুছে ফেলেন তিনি।
নানা টালবাহানা, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে চলতি মাসের ১৪ তারিখ শেষমেশ বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। সেখানে বাকি বিরোধীদের পিছনে ফেলে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যাকে বাংলায় বিজেপির উত্থান হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর তারপরই তৃণমূলকে নিশানা করেন সুনীল দেওধর। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘রিগিং, ব্যালটের অপব্যবহার, তৃণমূল ক্যাডারদের গুন্ডামি ও হিংসা সত্ত্বেও বাম ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হলে ভোটের ফলাফল তৃণমূলকে চমকে দিতই।’ তার সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং বাংলার বিজেপি নেতাদের ছবিও সেখানে উজ্জ্বল। আর তারই মধ্যে দেখা যাচ্ছিল বাংলার বিকৃত মানচিত্র। উল্লেখ্য, গতবছর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছিল দার্জিলিং। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মুখেও শোনা গিয়েছিল পৃথক রাজ্যের কথা। একই কারণে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কোচবিহার। তাই এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতার এমন পোস্ট ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে ভুল বুঝতে পেরে বিতর্ক এড়াতে তা মুছে ফেলেন সুনীল দেওধর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.