Advertisement
Advertisement
PM Narendra Modi

‘কাপুরুষোচিত হামলা’, কানাডার হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা মোদির

কানাডায় আইন শাসন কায়েম করার কথা জানিয়েছেন মোদি।

'Cowardly Attempts', PM Narendra Modi On Canada Row

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:November 4, 2024 9:34 pm
  • Updated:November 4, 2024 10:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার মন্দিরে হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। হিন্দুদের মারধর পাশাপাশির তাণ্ডব চালায় হলুদ পতাকাধারীরা। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। কানাডায় আইন শাসন কায়েম করার কথা জানিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন নমো।   

গতকাল রবিবার টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় খলিস্তানিরা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে খলিস্তানি তাণ্ডবের সেই ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী জঙ্গিরা। রেহাই পায়নি মহিলা ও শিশুরাও। মারধর করা হয় তাদেরও। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। 

Advertisement

এই ঘটনায় কানাডার সরকারকে একহাত নিয়ে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কানাডার হিন্দু মন্দিরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে আমি তার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। এই হামলার মাধ্যমে আমাদের কূটনীতিকদের ভয় দেখানো কাপুরুষোচিত পদক্ষেপ। এইভাবে ভারতের সংকল্পকে দুর্বল করে দেওয়া যাবে না। আমরা আশা করছি, দোষীদের শাস্তি দিতে কানাডার সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করবে। আইনের শাসন কায়েম রাখবে।’ ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার দুদেশের মধ্যে সংঘাত তীব্র হবে বলেই মত কূটনীতিকদের।  

I strongly condemn the deliberate attack on a Hindu temple in Canada. Equally appalling are the cowardly attempts to intimidate our diplomats. Such acts of violence will never weaken India’s resolve. We expect the Canadian government to ensure justice and uphold the rule of law.

— Narendra Modi (@narendramodi) November 4, 2024

অন্যদিকে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।এই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেদেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্য স্পষ্ট বলেন, “খলিস্তানি জঙ্গি মতাদর্শ কানাডায় কতখানি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ব্রাম্পটনের হিন্দু মহাসভা মন্দিরে ঢুকে যেভাবে ভক্তদের মারধর করা হয়েছে, তার পর সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছে খলিস্তানিরা।” টরন্টোর সাংসদ কেভিন ভুং এবং কানাডার বিরোধী দলনেতা পিয়ের পলিভারও স্বীকার করেছেন, হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে পারেনি কানাডা। পিয়েরের মতে, “প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার আছে নিজের ধর্ম এবং বিশ্বাস পালন করার। ধর্মস্থানে এমন হামলার আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি।”  

দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রবিবারের হামলার পর তিনি বলেন, মন্দিরে এমন হামলা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারা মন্দিরে হামলা করেছে, সেই নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় পুলিশ।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement