সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টারগুলির জন্য অপেক্ষা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। প্রথম অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন গঠনের পর কেটে গিয়েছে ১৫ মাস। কিন্তু ভারতীয় সেনা এখনও হাতে পায়নি সেগুলি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের এক চুক্তির ফলশ্রুতি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এই মুহূর্তে রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে।
চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে ২০২০ সালে ছটি অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার কেনার জন্য মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্থলসেনা। প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার ওই চুক্তি মোতাবেক ২০২৪ সালের মে বা জুনেই তিনটি কপ্টার পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে হয় ডিসেম্বর। এরপরও অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের প্রথম ব্যাচ চলতি বছরের মে মাসে আসবে। কিন্তু সেটাও হয়নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র বলছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই দেরি করছে আমেরিকা। ২০২৪ সালের মার্চে পাক সীমান্তে প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গঠন করে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বিমান চালক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা অভিযানের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু প্রস্তুতিই সার। এখনও পর্যন্ত হাতে আসেনি অ্যাপাচি।
উল্লেখ্য, বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলো। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রয়েছে ২২টি অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এর মধ্যে ১১টিতে রয়েছে শত্রু শিবিরে বিভীষিকা তৈরি করা লং বো ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। রয়েছে হেলফায়ার (নরকের আগুন) মিসাইল। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচি হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় অ্যাপাচিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.