সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় রেল এবং কেন্দ্রকে তুলোধোনা দিল্লি হাই কোর্টের। কেন এত টিকিট বেচা হল? বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রীকে টিকিট দেওয়া হয় কোন হিসাবে? রেলের কাছে জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “আপনারা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কী এমন পদক্ষেপ করেছেন? সংবিধান অনুযায়ী রেলের আধিকারিকদের দায়িত্ব সব ট্রেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীকেই টিকিট দেওয়া। এবং এই সংখ্যাটাও প্রতিটি কোচের বাইরে লেখা থাকা উচিত।” হাই কোর্ট বলছে, “রেলের আধিকারিকরা আর একটু দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। হাই কোর্টের প্রশ্ন, “শনিবার রাতে কেন বাড়তি টিকিট দেওয়া হল যাত্রীদের? কেন ট্রেনগুলির যাত্রী বহন ক্ষমতায় নজর রাখা হল না? পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কোথাও একটা উপেক্ষা হয়েছে।”
শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভযাত্রীদের ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল শনিবার রাতে? যার জেরে নয়াদিল্লির মতো হাই প্রোফাইল স্টেশনে এত বড় দুর্ঘটনা? পুলিশ ও রেল সূত্র বলছে, অতিরিক্ত ভিড় এবং গুজবের জেরে দুর্ঘটনা। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুম্ভ যাওয়ার উদ্দেশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। সেই ট্রেনগুলির আশায় দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
রেল সেই যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত অসংরক্ষিত টিকিটও দিয়েছে। স্রেফ দু ঘণ্টায় অফলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার অসংরক্ষিত টিকিট। এর সঙ্গে অনলাইনেও বহু অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রি হয়েছিল। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত টিকিট তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে কয়েক হাজার যাত্রী সেদিন টিকিট নিয়ে হাজির ছিলেন নয়াদিল্লি স্টেশনে। কিন্তু সেই মতো ব্যবস্থাপনা করেনি রেল। সেটা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.