Advertisement
Advertisement

জানালাহীন খুপরি ঘরই ছিল আশ্রয়, অনাহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল মর্মান্তিক তথ্য

ঘরের পরিস্থিতি জানলে শিউড়ে উঠবেন৷

Delhi: Toddlers living in a windowless room smaller than car
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 28, 2018 2:22 pm
  • Updated:July 28, 2018 2:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আটশো কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে মীরাট-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ে। সেই ঝাঁ চকচকে হাইওয়ে থেকেই বেশ কিছু সারিবদ্ধ রাস্তা চলে গিয়েছে আশেপাশের ঘিঞ্জি এলাকায়। তাদেরই একটি গিয়ে মিশেছে পূর্ব দিল্লির মান্ডাওয়ালির তালাব চকে। এলাকার পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় বসতি এলাকা। রাস্তার জীর্ণ দশা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল। সেখানেই জানালাহীন একটি ঝুপড়ি ঘরে বাবা, পেশায় রিকশচালক মঙ্গল সিং ও মানসিক ভারসাম্যহীন মা, বীণার সঙ্গে বাস করত তিন শিশুকন্যা। গত তিনদিন ধরে যাদের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে, ভেবেই শিউড়ে উঠছেন অনেকে।

[মাদ্রাসায় মৌলবির বিকৃত লালসার শিকার পড়ুয়ারা, উদ্ধার ৩৬ নাবালিকা]

Advertisement

ঘরের মধ্যে আসবাব বলতে রয়েছে, একটি কাঠের খাট, একটি চেয়ার ও দেওয়ালে টাঙানো কিছু ক্যালেন্ডার। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা বলছেন, গোটা এলাকায় এমন আরও ৪০টি ঘর রয়েছে। প্রত্যেকটিতেই শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাস। এই ঘরগুলি কোনওমতেই থাকার জন্য উপযুক্ত নয়। জানা গিয়েছে, সোমবার তিন শিশুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই নিয়ে যান লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের পাকস্থলীতে ন্যূনতম খাদ্যকণারও হদিশ মেলেনি৷ দেহে ছিল না সামান্যতম চর্বিও৷ সম্ভবত ৮ দিন ধরে অভুক্ত ছিল তারা৷ পুলিশকে দেওয়া বয়ানে মানসিক ভারসাম্যহীন বীণা দেবী জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে একটু খাবারের জন্য কাতরাচ্ছিল তাঁর মেয়েরা৷ কিন্তু কোনও উপায় ছিল না তাঁর কাছে৷ খাদ্যাভাবে চোখের সামনে মেয়েদের ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যেতে দেখেন তিনি৷

Advertisement

[দিল্লিতে অনাহারে মৃত তিন শিশুর মামার বাড়ির হদিশ মিলল ঝাড়গ্রামে]

ঘটনায় ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন৷ জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ শিশুগুলির বাবার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না খুনের সম্ভাবনাও৷ তদন্তকারীরা অনুমান, কোনও বিষাক্ত খাবার খাইয়ে বাবা, মঙ্গল সিং হত্যা করতে পারেন তিন শিশুকে৷ জানা গিয়েছে, হঠাৎ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ায়, কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এখনও আর ফেরেননি। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় বেড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের আনাগোনা৷ যা আরও বেশি হতাশ করছে জীর্ণবসতির লোকগুলিকে৷ হাহুতাশ করে তাঁরা জানাচ্ছেন, তিনটি শিশুকন্যার প্রাণের বিনিময়ে প্রশাসনের উদাসীনতা কাটল৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ