সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বাবা-মা ও দিদিকে খুন করা যেতে পারে অনেকদিন ধরেই সে পরিকল্পনা চালাচ্ছিলেন দিল্লির অভিযুক্ত তরুণ। নিমেষের মধ্যে সকলকে হত্যা করতে ইন্টারনেট থেকে তথ্য জোগাড় করেছিলেন অভিযুক্ত। হামলার ধরন দেখে সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্ত অর্জুন তনওয়ার ইন্টারনেট ঘেঁটে যে তথ্য জোগাড় করেছিল, তার সঙ্গে এই হত্যার মিল রয়েছে কিনা, যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনায় এক নিমেষে পরিবারের সকলকে খুন করে অভিযুক্ত অর্জুন। প্রথমে দিদির শ্বাসরোধ করে গলার নলি কাটা হয়। এরপর দোতলায় উঠে ঘুমন্ত বাবার গলায় ছুরি বসান তিনি। সেখান থেকে নিচে নেমে আসেন। সেখানে মা বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর তার উপর হামলা চালানো হয়। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের ফোন ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে তা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই খুন করতে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, খুনের পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেও নিপুণ দক্ষতা দেখান অভিযুক্ত। বাবা ও মায়ের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করার পর রক্ত আটকাতে তাঁদের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেই রক্তমাখা পোশাক ব্যাগে ভরে বেরিয়ে যান তিনি। ব্যাগ জঙ্গলে ফেলে বাড়ি এসে সব রক্ত ধুয়ে ফেলেন। পরদিন ভোর ৫টা নাগাদ প্রাতঃভ্রমণে বের হন অভিযুক্ত। সেখান থেকে ফিরে অভিনয় শুরু করেন। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে খুনের কথা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে জানান, প্রাতঃভ্রমণ সেরে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, বাবা, মা এবং বোন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার দক্ষিণ দিল্লির নেব সরায়য়ে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ২০ বছরের অর্জুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, পরিবারের কারও সঙ্গে বনিবনা ছিল না তরুণের। বাড়িতে তাঁকে নিয়ে গোলমাল লেগেই থাকত। ছেলের প্রতি বিতশ্রদ্ধ ছিলেন বাবা। কথা কাটাকাটি লেগে থাকত। সম্প্রতি সম্পত্তির ভাগ নিয়েও ছেলের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা হয় বাবা-মায়ের। এর পরেই হত্যার ছক কষেন অর্জুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.