সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাপটের দিন গিয়েছে। ঐশ্বর্য আর ভোগের যে আয়োজন এককালে ছিল, এখন তা স্বপ্ন মাত্র। গারদের ওপারে রাম রহিম। এদিকে শুকোচ্ছে তার ডেরা।
[ বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগে চার পড়ুয়াকে জরিমানা জেএনইউ-র ]
কী ছিল না বাবার ডেরায়! স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার তো ছিলই। বাবার শখের শেষ ছিল না। ফলে সপ্তম আশ্চর্যের আদলে অনেক সৌধও বানানো হয়েছিল। আইফেল টাওয়ার থেকে ডিজনি ল্যান্ড- নানা উপকরণে সাজিয়ে তুলেছিল নিজের ডেরা। অসংখ্য অনুগামীর ভিড়। উপচে পড়া অর্থ। আর তাতেই ভোগের পেয়ালা চলকে পড়ত। পাল্লা দিয়ে চলত যৌন কুকীর্তি। ধর্ষণের অভিযোগেই জেলে বাবা রাম রহিং। তবে শুধু দুটি ধর্ষণ তো নয়। সামনে এসেছে মাত্র সেই ঘটনা। এদিকে বাবার ভোগের ফিরিস্তি পেয়ে চোখ কপালে উঠেছিল দেশবাসীর। রীতিমতো নিয়ম মেনে সাধ্বীদের ভোগ করত সে। কন্ডোমের পাহাড় ছিল ঘরে। ওদিকে জলের নিচে যৌনতা উপভোগের জন্যও ব্যবস্থা করেছিল। দেশের মধ্যেই যেন আর একটা দেশ, নিজস্ব অর্থনীতি তৈরি করে ফেলেছিল রাম রহিম। কিন্তু সেদিন গিয়েছে।
[ জিএসটি বুঝতেই পারিনি, স্বীকারোক্তি মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রীর ]
রাম রহিমের পর ডেরার নেতৃত্বে কে থাকবে তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছিল। উঠে এসেছিল হানিপ্রীতের নাম। কিন্তু সেও এখন পুলিশের জালে। ফলে নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে ডেরা। যেখানে একসময় প্রায় হাজার দশেক অনুগামী থাকত, সেখানে মেরেকেট মোটে সাতশো কি আটশো মানুষ থাকেন। স্কুল-কলেজ-হাসপাতালগুলি ধুঁকছে। কী কাজ হবে, তার কোনও নির্দেশও আসছে না। এদিকে ডেরার অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক লেনদেনও নজরে। ফলে সাজানো বাগান একরকম শুকিয়েই গিয়েছে। জাতিবৈষম্যের বিরুদ্ধে জেহাদ জারি করেছ রাম রহিম। ব্যক্তিগত যৌন কুকীর্তি বাদ দিলে, যেভাবে বাবা জাতপাত মুছিয়ে ইনসান নামক ছাতার তলায় মানুষকে এনেছিল, তাতেই জনপ্রিয়তা বাড়ে। তার নামে আলাদা ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হয়। নেতাদের মধ্যেও তার কদর বাড়ে। ডেরায় ভোগ বিলাসের পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছিল রাম রহিম। যৌনাচারের দরুন সব আজ মিথ্যে হয়ে গিয়েছে। যেটুকু ভাল কাজ ডেরার মধ্যে ছিল, তাও বন্ধ হতে বসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.