সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হিংসা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সদ্য কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী মোদি সরকারকে ‘রাজধর্ম পালনের’ বার্তা দিয়েছেন। এবার তারই পালটা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সোনিয়াকে কটাক্ষ করে প্রসাদ বলেন, “আমাদের রাজধর্ম শেখাবেন না। আপনাদের অতীতে ভোট ব্যাংক রাজনীতির রেকর্ড কিছু কম নেই। আগে নিজে রাজধর্মের আয়না দেখুন। আপনারা এনপিআর করলে সেটা ঠিক, আর আমরা করলে তা উসকানি! আপনি রামলীলা ময়দানে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়ে হিংসা উসকেছেন। সিএএ সংবিধান মেনেই করা হয়েছে। এবার আপনি সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন।”, শুধু তাই নয়, এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ সাফ অভিযোগ জানান যে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়ে জনতাকে ইন্ধন জুগিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় অমিত শাহর ইস্তফার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে গিয়ে মোদি সরকারকে ‘রাজধর্ম’ স্মরণ করানোর কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিং। পাশাপাশি, গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন ও শান্তি মিছিল বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে নেত্রীর নির্দেশ মেনে ময়দানে নামেনি দলের কোনও নেতা কর্মীই। এ পর্যন্ত হিংসা থামাতেও উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের কোনও নেতাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক নেতা আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, দল ভোটেই নামেনি তো হিংসা থামানো! নেতারা নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি করছেন। কীভাবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়, নেতাদের এখন এটাই প্রধান ভাবনা। এ ব্যাপারে প্রবীণে-নবীনে ভেদ নেই। সোনিয়া সক্রিয় হলে প্রবীণেরাও একটু তৎপর হন। প্রিয়াঙ্কা পথে নামলে নবীনদের একাংশকে দেখা যায়। আর রাহুল গান্ধী তো বিদেশে। তাঁর আবার নিজস্ব গোষ্ঠী। দলের জন্য ভাববে কে? এদিকে, সমালোচিত হলেও পথে নামার প্রশ্নে ঢের এগিয়ে বিজেপি। দিল্লির হিংসায় পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে দিল্লিতে ‘শান্তি মিছিল’ করেছেন বিজেপির বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্রাও। সঙ্গে আসরে নেমেছে আরএসএসও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.