Advertisement
Advertisement

Breaking News

Eknath Shinde

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিণ্ডের, কোন অঙ্কে মসনদে ‘বিদ্রোহী’ শিব সেনা নেতা

উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।

Eknath Shinde takes oath as Chief Minister of Maharashtra। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 30, 2022 7:47 pm
  • Updated:June 30, 2022 8:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস (Devendra Fadnavis)। এদিন বিকেলে রাজভবনে সরকার গড়ার আবেদন জানান শিণ্ডে-ফড়ণবিস। এরপরই রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিণ্ডের নাম ঘোষণা করেন ফড়ণবিস। তবে তিনি নিজে মন্ত্রিসভায় থাকতে চাননি। পরে বিজেপি নেতৃত্বের আরজি মেনে সিদ্ধান্ত বদলান। 

পরিস্থিতির চাপে পড়ে বুধবারই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। এরপরই স্পষ্ট হয়ে যায়, ‘বিদ্রোহী’ শিব সেনা বিধায়কদের নিয়ে বকলমে বিজেপিই সরকার গড়ছে রাজ্যে। আর তখন থেকেই ধারণা করা হয়, ফড়ণবিসকেই দেখা যাবে মসনদে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটকের শেষ অঙ্কে চমক দেয় গেরুয়া শিবির। খোদ ফড়ণবিস জানিয়ে দেন, তিনি নন, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিণ্ডে। সেই থেকেই জল্পনা শুরু হয়, কোন অঙ্কে এই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি?

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশকে শান্তির বার্তা দিন, না হলে আসবে না বিদেশি বিনিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি কংগ্রেসের]

মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে রয়েছে ২০১৯ সালের পরিস্থিতি। সেই সময় বিজেপি ও শিব সেনার জোট জয়ী হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে কোন দলের নেতা বসবেন, তাই নিয়েই শুরু হয় মতানৈক্য। শেষ পর্যন্ত এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সমর্থনে এক ভোররাতে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়ে সকলকে চমকে দেন ফড়ণবিস। কিন্তু সেই সরকার টেকেনি। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। এই অবস্থায় বিজেপি ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি ‘ক্ষমতালোভী’র তকমাও পায় বিরোধীদের কাছ থেকে। এবার তাই শিণ্ডেকে ওই পদ ছেড়ে দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল করল বিজেপি। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Advertisement

তাছাড়া উদ্ধব ঠাকরে বারবার অভিযোগ করেছেন বিজেপি তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। এই অবস্থায় একজন শিবসৈনিককেই মসনদে বসিয়ে সেই অভিযোগকেও সাধারণের কাছে ‘ভোঁতা’ প্রতিপন্ন করল বিজেপি। ভবিষ্যতে যাতে এটাকে আর ইস্যু না করতে পারেন উদ্ধব, সেই পরিকল্পনাতেই এমন সিদ্ধান্ত বিজেপির। পাশাপাশি শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শের উল্লেখ করেও বড় চাল চালল বিজেপি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ‘বিদ্রোহী’ শিব সেনা বিধায়কদের আপাতত পাশে পেলেও পরিস্থিতি যে ফের ঘুরে যেতে পারে এমন সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই একনাথকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ও বাকিদের মধ্যে থেকে অনেককেই মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে সেই সম্ভাবনায় অনেকটাই জল ঢেলে দিল বিজেপি। 

আরও একটি সম্ভাবনা উঠে আসছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। সেই হিসেবে আর বছর দুয়েক সময় হাতে আছে। এই সময়টুকু শিব সেনার বিধায়ককেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখে পরের বার গোড়া থেকেই বিজেপি প্রার্থীকে মুখ্যমন্ত্রী করার পরিকল্পনাও থাকতে পারে বিজেপির। এতগুলির সম্ভাবনার এক বা একাধিক কারণেই শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবাসরীয় বিকেলে আচমকাই ক্ষমতার আলোকবৃত্ত ফড়ণবিসের পরিবর্তে এসে দাঁড়াল একনাথ শিণ্ডের মাথায়। আর বুঝিয়ে দিল, রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। 

[আরও পড়ুন: চলন্ত অটোতে আগুন, ঝলসে মৃত্যু ৫ যাত্রীর, ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা সরকারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ