Advertisement
Advertisement
DY Chandrachud

নির্ধারিত সময়ের পরও প্রধান বিচারপতির আবাসনে চন্দ্রচূড়! কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?

Ex Chief Justice DY Chandrachud Overstaying In Government Home, Top Court Writes To Centre
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 6, 2025 1:39 pm
  • Updated:July 6, 2025 2:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কিন্তু আট মাস কেটে গেলেও এখনও সরকারি আবাসনেই থাকছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তা নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রকে চিঠি দিল শীর্ষ কোর্ট। 

Advertisement

গত ১ জুলাই কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মেয়াদ শেষের পরেও বিচারপতি চন্দ্রচূড় কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৫ নম্বর বাংলোটিতে বসবাস করছেন। কিন্তু নিময় অনুযায়ী, তিনি আর সেখানে বসবাস করতে পারেন না। শীর্ষ আদালতের তরফেও সেখানে তাঁকে আর বসবাসের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই দেরি না করে অবিলম্বে তিনি যেন সেই আবাসন খালি করে দেন।

বস্তুত, কৃষ্ণ মেনন মার্গের ‘টাইপ ৮’ বাংলোটি দেশের প্রধান বিচারপতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। তবে অবসরের পর তাঁরা ‘টাইপ ৬’ বাংলোতে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের উত্তরসূরি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ‘টাইপ ৮’ বাংলোতে থাকতে রাজি হননি। তাই তখন থেকে সেই বাংলোতেই বসবাস করছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।  

সুপ্রিম কোর্টের পাঠানোও ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাক চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কিছু কারণের জন্য যাতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে ওই বাংলোতে বসবাস করতে দেওয়া হোক। তার এই আবেদনে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাইকে তাঁর সেখানে বসবাসের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে মৌখিক আবেদন জানিয়েছলেন। কিন্তু সেই সময়সীমাও অতিক্রম হয়েছে। তাই অবিলম্বে বিচারপতি চন্দ্রচূড় যেন বাংলোটি খালি করে দেন।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “ব্যক্তিগত কিছু কারণের জন্য বাংলোটি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। গোটা বিষয়টি শীর্ষ আদালতকেও আমি জানিয়েছি। আমার দুই মেয়ে অসুস্থ। তাঁরা দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন। তাই উপযুক্ত একটি বাড়ির প্রয়োজন। আমি বাড়িও খুঁজছি।” তাঁর কথায়, “সরকারের তরফে আমার জন্য যে বাড়িটি বারাদ্দ করা হয়েছে, সেটি বসবাসের অযোগ্য। মেরামতির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই আমি সেখানে চলে যাব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement