সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাঁ চকচকে শপিং মল। যাঁরা এখানে কেনাকাটা করতে আসেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত। গাড়ি থেকে নামেন, কেনাকাটা সেরে ফের গাড়ি চেপে ফিরে যান। কিন্তু কে জানত, সেই শপিং মলের ভিতরেই রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা? শুক্রবার গুরগাঁওয়ের এরকমই এক নামী শপিং মলের ভিতর এক স্পা সেন্টার থেকে নয় মহিলাকে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে আটক করল পুলিশ।
ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানতেনই না, তাঁদের ‘পশ’ এলাকায় এরকম দেহ ব্যবসার আসর বসত নিয়মিত। তবে স্পা-এর নামে সেখানে নিত্যদিনই অচেনা লোকজন আসতেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এমজি রোডের উপর মেগাসিটি মলের ভিতর ‘নেচার স্পা’-এর ভিতর রমরমিয়ে চলত দেহ ব্যবসা। জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ মহিলাকে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে চারজন তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। পুলিশের মুখপাত্র রবীন্দ্র কুমার বলছেন, ‘অভিযুক্তদের বেআইনিভাবে মানবপাচারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।’
কীভাবে ধরা পড়ল এত বড় চক্র? সেও যেন এক সিনেমার প্লট। মলের ভিতর যে দেহ ব্যবসা চলছে, সে খবর গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে ছিল। ছিল না কোনও বুনোট তথ্য-প্রমাণ। তাই এক পুলিশকর্মীকে সাধারণ গ্রাহক সাজিয়ে পাঠানো হয় ওই স্পা-এ। স্পা-এর রিসেপশনে বসে মহিলা ওই পুলিশকর্মীকে জানায়, প্রতি ঘণ্টায় ২৫০০ টাকা দিলেই মিলবে চূড়ান্ত শারীরিক সুখ। পুলিশকর্মীকে ক্রেতা ভেবে মহিলাদের নগ্ন ছবির অ্যালবাম দেখানো হয়। বলা হয়, রেট অনুযায়ী মহিলা বেছে নিলে আলাদা ঘরে একান্তে ম্যাসাজ পাওয়া যাবে। আর একটু বেশি টাকা দিলে মিলবে যৌন সঙ্গমের সুযোগও। ওই ছদ্মবেশী পুলিশকর্মীই পরে মিডিয়াকে বলেন, ‘আমার সামনেই অন্যান্য গ্রাহকদেরও ফোন করা হচ্ছিল। পাঠানো হচ্ছিল মেসেজ।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.