সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর নামেই এক সময় ঘেমে উঠত রাজনীতির রাঘব বোয়ালরা। তাঁর জমানায় নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলি বেগড়বাই করতে রীতিমতো ভয় পেত। দাবি করা হয়, তিনিই নাকি ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমূল সংস্কার ঘটিয়েছেন। প্রাক্তন সেই দোর্দন্ডপ্রতাপ নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষনের ঠিকানা এখন চেন্নাইয়ের বৃদ্ধাশ্রম।
[বিশ্বের জনপ্রিয় নেতাদের তালিকায় তিন নম্বরে মোদি, বলছে সমীক্ষা]
জানা গিয়েছে, শেষন ও তাঁর স্ত্রী জয়ালক্ষ্মী চেন্নাইয়ের ‘গুরুকুলম ওল্ড এজ’ নামের হোমে থাকেন। দুজনেই বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত তাঁরা। সন্তানহীন ওই দম্পতির এখন আর আপন বলতে কেউ নেই। তাই হোমের বাসিন্দাদেরই নিজের করে নিয়েছেন তাঁরা। কেরলের পালাক্কড়ে শেষন দম্পতির বাড়ি। সন্তানহীন এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা শেষ জীবনটা চেন্নাইয়ের বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বছর ডিসেম্বরে ৮৫-তে পা দেন শেষন। বৃদ্ধাশ্রমের অন্য আবাসিকদের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গেই পালন করেন জন্মদিন। নিজের বলতে আজ কেউ না থাকলেও, অনাত্মীয়দেরই আত্মীয় করে সুখে আছেন তাঁরা। আবাসিকদের একাংশ জানিয়েছেন, পেনশনের সিংহভাগ হোমের বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাতেই খরচ করেন শেষন দম্পতি।
খুবই ধর্মপ্রাণ শেষন দম্পতি। সত্য সাই বাবার একনিষ্ঠ ভক্ত তাঁরা। সাই বাবার মৃত্যুর পরেই ভেঙে পড়েন তিনি। তারপরই তিনি চলে আসেন এই বৃদ্ধাশ্রমে। বছর তিনেক হোমে থাকার পর পালাক্কড়ের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। কিন্তু এখন আবার তিনি সস্ত্রীক ফিরে এসেছেন বৃদ্ধাশ্রমে। অত্যন্ত সৎ এবং স্বচ্ছ চরিত্রের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত শেষন। রাজনীতির লড়াইয়ে অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহারে রাশ টেনেছিলেন তিনি।
[ধর্ষণ করে মহিলারাও, তাদের সাজা নয় কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.