Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডাইনি

‘কালা জাদু’ করার জের! ডাইনি অপবাদে চারজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পিটিয়ে খুন ঝাড়খণ্ডে

অভিযুক্তদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।

Four villagers lynched in Jharkhand over suspicion of witchcraft practice

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 21, 2019 3:31 pm
  • Updated:July 21, 2019 3:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ১৮ ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পিটিয়ে মারা হয়েছিল তবরেজ আনসারিকে। খুনিদের কথা মতো ‘জয় শ্রীরাম‘ বলার পরেও ছাড় পাননি তিনি। এবার ডাইনি অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মারা হল দু’জন বৃদ্ধ ও দু’জন বৃদ্ধাকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে গুমলার সিসাই পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত একটি গ্রামে। মৃতদের নাম ভগত (৬৫), ফাগনি দেবী (৬০), চম্পা ভগত (৬৫) ও পেটি ভগত (৬০)। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরে প্রবল উত্তেজনা এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটির তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা।

[আরও পড়ুন- উৎক্ষেপণের দিন পিছোলেও নির্দিষ্ট দিনেই চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই বৃদ্ধ ও বৃ্দ্ধা পাশাপাশি তিনটি পরিবারে বাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে ডাইনি বিদ্যার অনুশীলন করতেন বলেও অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দাদের। এর জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। কেউ কেউ সেই সুযোগকে কাজ লাগিয়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল। শনিবার ১০-১২ জনের একটি দল আচমকা চড়াও হয় ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার উপর। তারপর তাঁদের আটকে রেখে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে গুমলা জেলার পুলিশ সুপার অঞ্জনি কুমার ঝা বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে মৃতরা সবাই ডাইনি বিদ্যার অনুশীলন করতেন। এর জেরে এলাকায় কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, তারাই কুসংস্কারের বশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন- আলো-পাখা চালিয়েই বিদ্যুতের বিল ১২৮ কোটি টাকা! হতবাক দরিদ্র দম্পতি]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডাইনি অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মারার ঘটনা এর আগেও অনেকবার ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। তার পিছনে আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যের অশিক্ষার হারকেই দায়ী করছেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি উঠে আসছে প্রশাসনের ব্যর্থতার কথাও। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ যে হচ্ছে না এই ঘটনা সেই প্রমাণই দিচ্ছে!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ