Advertisement
Advertisement

Breaking News

নমাজের সময় হাতে রাখা যাবে না নেলপলিশ! নয়া ফতোয়ায় চরমে বিতর্ক

খ্যাতনামা ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অদ্ভুত নির্দেশিকা৷

Fresh Fatwa on woman in UP
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 5, 2018 3:34 pm
  • Updated:November 5, 2018 3:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় গোঁড়ামি মানুষের বাস্তববোধকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে এবং সমস্ত জ্ঞান ও শিক্ষার দ্বাররুদ্ধ করে৷ একথা আগেও একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে৷ আরও একবার প্রমাণ করল দারুল উলম দেওবন্দ৷ নজিরবিহীনভাবে মুসলিম মহিলাদের জন্য নয়া ফতোয়া জারি করল খ্যাতনামা এই ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি৷ নির্দেশ দিল, নমাজ পড়ার সময় হাতে নেলপলিশ পরতে পারবেন না মুসলিম মহিলারা৷ কিন্তু মেহেন্দি পরতে পারবেন৷

[এবার বাঘিনীকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরাই, তদন্তের নির্দেশ বনদপ্তরের]

Advertisement

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকরে এই নয়া ফতোয়ার কথা জানিয়েছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই ইমাম মুফতি ইশরার গাউরা৷ দারুল উলম দেওবন্দের জারি করা এই ফতোয়ার খবরটিও তিনিই জানান৷ তিনি বলেন, এই নয়া ফতোয়াই এবার থেকে মেনে চলতে হবে মুসলিম মহিলাদের৷ তাঁর কথায়, “ইসলাম কখনই মহিলাদের প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করতে বাধা দেয় না৷ তা কখনই বলে না যে, মহিলারা সাজসজ্জার সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন না৷ ইসলাম মত অনুযায়ী, নামাজের আগে হাতে নেলপলিশ থাকা উচিত নয়৷ নমাজ পড়তে বসার আসে তা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা উচিত৷ কারণ, তখন হাতে নেলপলিশ থাকলে তা ইসলাম মতে অনুচিত বা বেআইনি কাজ বলে গণ্য হয়৷”

Advertisement

যদিও এই ফতোয়ার বিরোধিতা করেছেন রাষ্ট্রবাদী মুসলিম মহিলা সংঘের আইনজীবী ফারহা ফইজ৷ তিনি জানান, “ওঁরা কখনই পুরুষদের জন্য কোনও ধরনের ফতোয়া জারি করেন না৷ ইসলাম মত অনুযায়ী অনেক কিছুই করা যায় না। কিন্তু তাও সেই কাজ হয়ে থাকে৷ কেবল মহিলাদের জন্যই ওনারা যত রকমের ফতোয়া জারি করতে পারেন৷” এখানেই শেষ নয়, দারুল উলম দেওবন্দের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ সেখানে তো এই সব ফতোয়া জারি করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ৷ যত রকমের ফতোয়া কেবলমাত্র কি ভারতের জন্যই লাগু হবে?”

[ধনতেরাসে লক্ষ্মী-গণেশের সঙ্গে বিকোচ্ছে সোনার মোদি-বাজপেয়ীও]

এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার মহিলাদের জন্য বিতর্কিত ফতোয়া জারি করতে দেখা গিয়েছে দারুল উলম দেওবন্দ নামের ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে৷ বিতর্ক উঠেছে একদিকে যখন সৌদি আরবের মতো দেশে এখন মহিলারাও পুরুষদের ফুটবল খেলা দেখতে পারেন, তখন ভারতের মহিলাদের জন্য কেন এমন নির্দেশিকা জারি করে এই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? এমনকী এই প্রতিষ্ঠান তো এও বলেছিল, ছেলেদের ফুটবল খেলা দেখতে পারবেন না মহিলারা৷ কারণ সেটাও নাকি ইসলাম বিরুদ্ধ৷ তার আগেও এরা নির্দেশিকা জারি করে যে মুসলিম মহিলাদের চুল কাটা ইসলাম বিরোধী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ