সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে সংসদে সত্যি কথাটা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃদ্ধির হার যে ক্রমশ তলানিতে তা স্বীকার করেছিলেন জেটলি। ত্রৈমাসিক রিপোর্টে দেখা গেল বৃদ্ধির হার বেশ শ্লথ। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বা জিডিপি ৬.৫% নেমে আসছে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। গত চার বছরে এটি নিম্নতম।
[ডাক্তারিতে ভরতির নামে প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস সল্টলেকে, ধৃত ৬ পড়ুয়া]
২০১৪ সালে মে মাসে নরেন্দ্র মোদি তখতে বসার পর থেকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছনের দিকে হাঁটছে দেশ। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে ২০১৭-১৮ তে আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৫%। ২০১৪-১৫ তে যা ছিল ৭.৫%। বৃদ্ধির অধোগতি নোট বাতিল এবং জিএসটির প্রভাব বলে উঠে এসেছে খোদ কেন্দ্রের রিপোর্টে। তবে নোট বাতিল এবং জিএসটি নিয়ে বরাবরই কেন্দ্র বলে এসেছে এই সংস্কারের সুফল পাবে দেশ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ জোড়া সিদ্ধান্তের প্রভাবে আর্থিক বৃদ্ধির এই ছবি বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের যুক্তি অসার। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। ২০০৫-০৮ সালে তা ছিল ৯.৫। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এখন অনেকটাই কম। তারপরও আর্থিক বৃদ্ধির পশ্চাৎগতিতে অবাক অর্থনীতিবিদরা। কিছু দিন আগে বৃদ্ধির এই অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু।
[রেলব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার ল্যান্ডমাইন, বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল]
বিশেষজ্ঞদের একাংশও বলছেন মতে নোট বাতিল এবং জিএসটির জন্য আর্থিক বৃদ্ধির এই দশা। তাদের বক্তব্য, জিএসটির ক্ষেত্রে খুব একটা প্রস্তুতি না নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছিল। যার ফলে স্বাভাবিক লেনদেনের গতি ধাক্কা খায়। আর নোট বাতিলে যা ক্ষতি হয়েছে তার মাশুল গুনতে হবে অনেক দিন। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে এই হার আরও কমতে পারে। কিছু দিন আগে রেটিং সংস্থা মুডিজ ও বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে মোদি সরকার চাঙ্গা হয়েছিল। কিন্তু আর্থিক বৃদ্ধির এই দুর্দশা বুঝিয়ে দিল নোট বাতিল এবং জিএসটি চালুর ধাক্কা থেকে এখনও বের হতে পারেনি দেশের অর্থনীতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.