সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেহ ব্যবসায়ী ময়না। এক মধুচক্রে হানা দিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ অফিসার গণপত। কড়া ধাতের অফিসার শেষে যৌনকর্মীর প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু এ প্রেম কি কোনওদিন পরিণতি পাবে? এমন কাহিনি ১৯৩৯ সালে পর্দায় তুলে ধরার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি দেখেই মুগ্ধ হয়ে যান চার্লি চ্যাপলিন। যেচে ভারতীয় পরিচালকের সঙ্গে করমর্দন করতে এগিয়ে আসেন। প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাঁকে।
[‘পদ্মবতী’ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়]
জানেন কার কথা বলা হচ্ছে? এ কাহিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘আন্নাসাহেব’ শান্তারাম রাজারাম বানকুদ্রে ওরফে ভি শান্তারামের। যার ‘মানুস’ দেখে বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন হলিউডের কিংবদন্তিও।
প্রথাগত পড়াশোনা বেশি দূর গড়ায়নি শান্তারামের। কারণ ভাগ্য তাঁর জন্য সাজিয়ে রেখেছিল অন্য পথ। সেই পথেই বাবুরাও পেন্টারের মহারাষ্ট্র ফিল্ম কোম্পানিতে প্রবেশ। প্রথমে শুটিংয়ের টুকটাক কাজ করতেন। কিন্তু সুদর্শন চেহারার যুবককের সোজা নায়কের চরিত্র অফার করেন বাবুরাও। ১৯২১ সালে ‘সুরেখা হরণ’ নির্বাক চলচ্চিত্রের অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শান্তারাম।
অচিরেই তিনি বুঝে যান। এটাই তাঁর একমাত্র ভবিষ্যত। অভিনয়ের থেকেও বেশি নজর দেন পরিচালনা ও প্রযোজনায়। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তৈরি করেন প্রভাত ফিল্ম কোম্পানি। ১৯৩২ সালে তিনিই মারাঠি চলচ্চিত্র জগতকে উপহার দেন প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘অযোধ্যাচা রাজা’।
সেই শুরু। তারপর সিনেমা তৈরির পালা অব্যাহত থাকে। মাঝে যৌথ প্রযোজনা থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি করেন রাজকমল কলামন্দির। যা পরবর্তীকালে প্রসিদ্ধ হয় রাজকমল স্টুডিও নামে। যেখানে তৈরি হয়েছে ‘ঝনক ঝনক পায়েল বাজে’, ‘দো আখেঁ বারা হাত’, ‘নবরং’. ‘পিঞ্জরা’র মতো সিনেমা।
প্রায় ছয় দশক চলচ্চিত্র জগতে কাটিয়েছেন ভি শান্তারাম। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে, পদ্মবিভূষণের মতো সম্মান। একাধিকবার জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে তাঁর ছবি। শনিবার এই মারাঠি সিনেমার ‘পিতামহ’কেই ডুডলের মাধ্যমে সম্মান জানাল গুগল। ফের মনে করিয়ে দিল ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই সোনালি অধ্যায়কে।
[কলকাতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়িনি, কেন এমন টুইট অমিতাভ বচ্চনের?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.