সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত ভরতুকিতে ক্রয়যোগ্য বাড়ির উপর জিএসটি ১২% থেকে কমে হল ৮%। ২০২২-এর মধ্যে প্রত্যেক দেশবাসীর মাথার উপর ছাদ থাকবে বলে যে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই নয়া স্কিম সেই লক্ষ্যকেই পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি স্কিমের আওতায় প্রথম বাড়ি কেনার সময় ২.৭ লক্ষ টাকার ছাড় পাবেন মধ্যবিত্তরা। এই ছাড় মিলবে সর্বোচ্চ ১৬১৫ স্কোয়্যার ফুট (কার্পেত এরিয়া) পর্যন্ত বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য। এক্ষেত্রে ক্রেতার বার্ষিক আয় হতে হবে ১৮ লক্ষ টাকার মধ্যে। এক্ষেত্রে বিল্ট আপ এরিয়া সীমাবদ্ধ থাকতে হবে ২২০০ স্কোয়্যার ফুটের মধ্যে। মেট্রো শহরগুলিতে তিন বেডরুম বিশিষ্ট ফ্ল্যাট এর চেয়ে বেশি বড় খুব একটা দেখা যায় না। বার্ষিক আয়ের উপর ১৮ লক্ষ টাকার ‘ক্যাপ’ যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যাঁরা ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি স্কিমের আওতায় আসবেন না, তাঁদের ওই একই বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ১২% হারেই জিএসটি দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নয়া সুবিধা রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে। ক্রেডাই-এর চেয়ারম্যান গেতাম্বর আনন্দ বলছেন, ‘মধ্যবিত্তরাই এখন সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রেতা। সাধ্যের মধ্যে বাড়ি ছাড়া এখন আর কিছুই প্রায় বিক্রি হচ্ছে না। এখন ৪% জিএসটি কমে যাওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। আশা করছি এতে ক্রেতারা আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।’
এমনিতেই নোট বাতিলের পর থেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিম্নমুখী। একধাক্কায় বেশ খানিকটা সস্তা হয়ে গিয়েছে বাড়ি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, একদিকে জিএসটি ও অন্যদিকে রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্টি বা RERA-র ধাক্কায় দেশজুড়ে রেসিডেন্সিয়াল রিয়েল এস্টেটের দাম কমেছে। রিপোর্ট বলছে, বিলাসবহুল নয় বরং মধ্যবিত্তদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ডেভলপাররা ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যেই নতুন ফ্ল্যাটের দাম সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র অন্তর্গত কম দামে, ভরতুকিতে ফ্ল্যাট কিনছেন অনেকে। তাই ওই দামের ব্র্যাকেটেই ফ্ল্যাটের চাহিদা একটু বেশি। জিএসটি কমায় সাধ্যের মধ্যে সাধের অ্যাপার্টমেন্ট কেনার এটাই সবচেয়ে ভাল সুযোগ তাঁদের কাছে, বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, দেশের বড় শহরগুলিতে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম গড়ে ৩% করে কমেছে। যার মধ্যে দামের পতন সবচেয়ে বেশি হয়েছে পুনেতে। সেখানে বাসভবনের দাম করেছে ৭%। তারপর মুম্বইতে। সেখানে কমেছে ৫%। দামের পতনের মূল কারণ চাহিদায় কমতি। শুধু বেঙ্গালুরুতেই চাহিদা কমেছে অন্তত ২৬%। চেন্নাইতে নতুন বাড়ি কেনার চাহিদা গতবছরের চেয়ে কমেছে ২০%। মুম্বইতে চাহিদা সামান্য বেড়েছে, তাও মাত্র ৩%।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.