Advertisement
Advertisement

Breaking News

হর্ষবর্ধন

এনআরএস কাণ্ডের জের, চিকিৎসক সুরক্ষায় কড়া আইনের ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

শনিবার নিজে থেকেই সক্রিয়তা দেখান হর্ষবর্ধন।

Govt must pass law to make attacks on doctors: Harsh Vardhan
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 15, 2019 9:03 pm
  • Updated:June 15, 2019 9:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরএস কাণ্ডে এবার রীতিমতো সক্রিয় কেন্দ্র। শুধু এরাজ্য নয়, গোটা দেশেই চিকিৎসক নিগ্রহ একটা গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এবার চিকিৎসক সুরক্ষায় কড়া আইন আনার উদ্যোগ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। শুক্রবার তিনি এক টুইটে জানিয়ে ছিলেন, চিকিৎসক পেটালে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে কমপক্ষে ১২ বছরের জেল হওয়া উচিত অভিযুক্তদের। শনিবার তিনি নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে, কড়া আইন প্রণয়ন করতে অনুরোধ করেছেন।

[আরও পড়ুন: মমতা ছাড়াও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত আরও দুই মুখ্যমন্ত্রী]

শুক্রবার এক টুইটে ডঃ হর্ষবর্ধন বলেন, “দেশজুড়ে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের উপর ঘৃণ্য আক্রমণের জেরে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে এমন আইন আনতে হবে যাতে চিকিৎসকদের উপর হওয়া সমস্তরকম আক্রমণ জামিন অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এবং অপরাধীরা ন্যূনতম ১২ বছরের শাস্তি পায়। এবং সেই সঙ্গে ড্র্যাকোনিয়ান ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট (Draconian Clinical Establishment Act), যে আইনে চিকিৎসকদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়, সেই আইনটি প্রত্যাহার করতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক হিংসা ও এনআরএস কাণ্ডে রাজ্যের কাছে জোড়া রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের]

এরপর শনিবার নিজে থেকেই সক্রিয়তা দেখান হর্ষবর্ধন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এ বিষয়ে কড়া আইন প্রণয়নের আবেদন জানিয়ে চিঠি লেখেন তিনি। চিঠির সঙ্গে নতুন আইনের খসড়ার একটি করে প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তিনি অঙ্গরাজ্য এবং যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পৃথক সরকার আছে, সেই সব রাজ্যের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলা এবং গোটা দেশজুড়ে যে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে, তা কার্যত ধর্মঘটের রূপ নিয়েছে। যার ফলে ভূগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যত দ্রুত সম্ভব, এ বিষয়ে কড়া আইন প্রণয়ন করা উচিত। উল্লেখ্য, এনআরএস কাণ্ডের পর শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দিল্লি এইএমস এবং আইএমএ-এর প্রতিনিধিরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ