Advertisement
Advertisement
মদের বোতল হাতেই টিকটক ভিডিও গুজরাটের বিজেপি নেতার

গুজরাটে বন্ধ সুরা পান, অথচ মদের বোতল হাতেই টিকটক ভিডিওতে ব্যস্ত বিজেপি নেতা

স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

Gujarat BJP leader faces flak for drinking liquor and mocking police
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 14, 2019 11:59 am
  • Updated:December 14, 2019 11:59 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : গুজরাটে নিষিদ্ধ মদ। অথচ সেই রাজ্যেই হাতে মদের বোতল নিয়ে খোশ মেজাজে ঘুর বেড়াচ্ছেন এক বিজেপি নেতা। সঙ্গে আবার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন, “পুলিশ আমার টিকিও ছুঁতে পারবে না।” সোশ্যাল মিডিয়ায়  এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে গুজরাট পুলিশ। ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এখনও অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনায় দানা বেঁধেছে বিতর্কও।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, গুজরাতের ভাড়ুচ জেলার বিজেপির জেলা সংগঠনের এক নেতা কমলেশ মোদি হাতে মদের বোতল নিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করছেন। ভি্ডিওতে হাতে মদের বোতল নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা, “মুন্নাভাই (বলিউডি সিনেমার চরিত্র) মুম্বইয়ে ১০০ ভরি সোনা পরে হাতে মদের বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাকে পুলিশ আটকায় না। কারণ, পুলিশ জানে মুন্নাভাইকে ধরলে কী হতে পারে! তেমনই নরেন্দ্র মোদী আর কমলেশ মোদিরও টিকি ছুঁতে পারবে না পুলিশ।” এই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : প্রশান্ত কিশোরকে জরুরি তলব নীতীশ কুমারের, বহিষ্কার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]

পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ভাড়ুচ জেলার পুলিশ জানায়, ভিডিওটি দেখার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত নেতার খোঁজে বাড়িতে, এমনকী দোকানেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। কোথাও হয়ত আত্মগোপন করে রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হায়দরাবাদে ফের ধর্ষণ কাণ্ড, অটোচালকের যৌন লালসার শিকার তরুণী]

এদিকে এই ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়েছে ভাড়ুচের রাজ্য বিজেপির। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন ভাড়ুচ বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনা প্রসঙ্গে ভাড়ুচের বিজেপি প্রেসিডেন্ট ধানজি গোহিল জানান, “আমরা কমলেশ মোদির ভিডিওটা দেখেছি। তবে তিনি এখন দলের কোনও পদে নেই। পুরনো কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”

[আরও পড়ুন : দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২১টি ইঞ্জিন]

কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামার লক্ষ্ণ নেই। গুজরাটবাসীর প্রশ্ন, যে রাজ্য মদ নিষিদ্ধ সেখানে কীভাবে ওই নেতা মদ পেলেন? তাহলে কি যত আইন শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের জন্যই? নাকি সব বজ্র আঁটুনিই আসলে ফস্কা গেরো!     

   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ