সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ গুজরাট বিস্ফোরণের মূলচক্রী আবদুল সুভান কুরেশি ওরফে তওকিরকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। কুখ্যাত এই জঙ্গিকে বহুদিন ধরেই খুঁজছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সিমি ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য কুরেশি দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকার একেবারে উপরের দিকে থাকা একটি নাম।
তাকে কবজায় আনাটা সহজ হয়নি একেবারেই। কুরেশির ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। পালটা গুলি চালান স্পেশ্যাল সেলের অফিসাররাও। রীতিমতো এনকাউন্টার চলে। বোমা বানাতে ওস্তাদ কুরেশিকে জীবন্ত গ্রেপ্তার করতে চাইছিল পুলিশ। কারণ, তার কাছ থেকে ভারতে ‘অ্যাক্টিভ’ স্লিপার সেল ও জঙ্গিদের নাশকতামূলক কাজকর্মের বহু তথ্য রয়েছে। ধৃতকে জেরা করে ভারতে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দেওয়া সম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
বোমা বানাতে ওস্তাদ কুরেশি পরিচিত ভারতের ‘ওসামা বিন লাদেন’ নামে। গুজরাট বিস্ফোরণ ছাড়াও ২০০৬ মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে পরপর বিস্ফোরণ-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমির দীর্ঘদিনের সদস্য কুরেশি। মুজাহিদিনের নানা নাশকতামূলক কাজে কুরেশির তৈরি বোমা ব্যবহৃত হয়েছে। তাকে একসঙ্গে তিন রাজ্যের পুলিশ খুঁজছিল। দিল্লি, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র পুলিশের শীর্ষ অফিসাররা তার যাবতীয় গতিবিধির খোঁজ রাখছিলেন। এনআইএ-র ওয়ান্টেড লিস্টেও তার নাম রয়েছে। ২০০৮-এ কেরল পুলিশে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়, ২০১০-এ তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। এই কুখ্যাত জঙ্গির গ্রেপ্তারিকে দিল্লি পুলিশের বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.