সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর এখন অনেকটাই স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। বিরোধীরা যেমন একযোগে এই রায়ে সরকারের ঔদ্ধত্য চূর্ণ হল বলে দাবি করছেন, সরকারপক্ষ তেমন দাবি করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গণতন্ত্র রক্ষিত হল। সর্বোচ্চ আদালত রায় ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কিন্তু এই টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষ কী পেলেন? কোথায় কোথায় আধার সংযোগ এখনও বাধ্যতামূলক রইল আর কোথায় কোথায় তা আর বাধ্যতামূলক নয়? আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আধার রায়ের ফলে কী সুবিধা পেল সাধারণ মানুষ।
[ব্যাংক-সিম কার্ডে বাধ্যতামূলক নয় আধার, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের]
আধার আইনকে বৈধ ঘোষণা করলেও আইনটির ৫৭ নং ধারাটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে কোনও বেসরকারি সংস্থা আর আধারের কোনও তথ্য আপনার কাছ থেকে চাইতে পারবে না। এর ফলে কেন্দ্রের বেশ কিছু নির্দেশ এমনিতেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। যেমন,
১. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আর আধার বাধ্যতামূলক রইল না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আধার তথ্য ব্যবহার করতে পারবে না।
২. মোবাইল ফোন কেনার সময় কোনও মোবাইল সংস্থা আপনার কাছে থেকে আধার তথ্য চাইতে পারবে না।
৩. টেলিফোন কানেকশন, বা সিম কার্ড কেনার ক্ষেত্রেও আধার তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
৪. স্বল্প সঞ্চয় বা অন্যান্য আর্থিক স্কিমের ক্ষেত্রেও আধার তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
৫. স্কুলে ভরতির ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আধার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে না। এমনকী সরকারি বোর্ডের পড়ুয়াদেরও কোনও তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৬. বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের কাছ থেকে আধার সংক্রান্ত কোনও তথ্য চাইতে পারবে না।
[এবার আদালতের কার্যবিবরণী দেখা যাবে লাইভ, যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে আধার বাধ্যতামূলক না করা হলেও অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আধার সংযোগ কিন্তু এখনও বাধ্যতামূলক।
১. প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ করা এখনও বাধ্যতামূলক। সুপ্রিম কোর্ট প্যান-আধার সংযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
২. ইনকাম ট্যাক্স ফাইল বা আইটি রিটার্ন ফাইল করার ক্ষেত্রেও আধার নং বাধ্যতামূলক।
৩. সমস্ত সরকারি সুবিধার ক্ষেত্রে না হলেও, নির্বাচিত কিছু জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে এখনও আধার বাধ্যতামূলক।