সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাঁজা চাষ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল হিমাচল প্রদেশ সরকার। এবার থেকে সে রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে করা হবে গঞ্জিকা চাষ। হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার মনে করছে, গাঁজা যেমন নেশার দ্রব্য, তেমনই তার রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। যা আগামী দিনে গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। তবে আপাতত সে রাজ্যে গাঁজার চাষ হবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিতভাবে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর নেতৃত্বে হিমাচল মন্ত্রিসভা শুক্রবার নিয়ন্ত্রিতভাবে গাঁজা চাষে অনুমোদন দিয়েছে। তবে সাধারণ কৃষকরা প্রকাশ্যে গাঁজা চাষ করতে পারবেন না। নিয়ন্ত্রিতভাবে চৌধুরী সারওয়ান কুমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. ওয়াইএস পারমার হর্টিকালচার নৌনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গাঁজা চাষ করবে। হিমাচল প্রদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত গবেষণার জন্য।
এমনিতে হিমাচল প্রদেশে গাঁজা নিষিদ্ধ। কিন্তু হিমাচল প্রদেশ সরকার গাঁজার ঔষধি গুণ নিয়ে গবেষণা করতে চায়। যা আগামী দিনে রাজ্যের অর্থনৈতিক ভাগ্য বদলাতে পারবে বলে মনে করছে কংগ্রেস সরকার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে হিমাচল প্রদেশ সরকার রাজস্ব মন্ত্রী জগৎ সিং নেগির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই আংশিকভাবে গাঁজা চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয় খতিয়ে দেখবে কোন জাতের গাঁজার ঔষধি গুণ বেশি? কোন জাতের গাঁজা বেশি চাষ করা উচিত, এসব খতিয়ে দেখবে।
ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কিছু দেশে গাঁজা চাষ বৈধ। এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসাবে এর আগে থাইল্যান্ড গাঁজা চাষ বৈধ ঘোষণা করেছে। ভারতের কোনও রাজ্যেই গাঁজা চাষ বা সেবন বৈধ নয়। তবে এবার আংশিকভাবে গাঁজা চাষ বৈধ করে দিল হিমাচলপ্রদেশ সরকার। যদিও নেশার দ্রব্য হিসেবে গাঁজার ব্যবহার আগের মতোই অবৈধ। কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধী শিবিরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.