সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য জ্বর। তার জন্য অন্তঃসত্ত্বাকে সাধারণ বেড থেকে আইসিইউতে ভরতির পরামর্শ দেওয়া হল। ২২ দিন শেষে বিল হল ১৮ লাখ। শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন রোগিনী। ফের চিকিৎসা পরিষেবার নামে সাধারণ মানুষের উপর লুটতরাজের সাক্ষী হল হরিয়ানার ফরিদাবাদ।
[সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বেনজির বিদ্রোহ ৪ বিচারপতির]
মৃতের কাকা জানান, তাঁর ভাইঝির কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বর হচ্ছিল। চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীরা আইসিইউতে ভরতির কথা বলে। কারণ ওদের বক্তব্য ছিল টাইফয়েড হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন পর রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শরীর খারাপ হলেও নানাভাবে বোঝানো হয় অসুবিধার কিছু নেই। প্রথমে রোগীর পরিবারের থেকে অপারেশনের জন্য চার লাখ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দেওয়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর খিদে কমেনি বলে অভিযোগ। চিকিৎসার নামে এরপর দফায় দফায় আরও ৯ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। ১২ লাখ টাকার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও ৬ লাখ টাকা বিল বানায়। ইতিমধ্যে মারাও যায় ওই সন্তানসম্ভবা মহিলা। মৃত্যুশোক তার উপর ২২ দিনে ১৮ লাখ টাকা বিল। জোড়া ধাক্কায় বিধ্বস্ত ফরিদাবাদের ওই পরিবার। ওই মহিলার চিকিৎসার জন্য তাঁর স্বামী কয়েক লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মৃতের পরিবার। এই নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাওয়ার কথা তারা ভাবছে।
[ধর্ষণ করে মহিলারাও, তাদের সাজা নয় কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে]
পরিষেবা এবং আজব বিল নিয়ে তাদের দিকে আঙুল উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য মচকাচ্ছে না। তাদের দাবি ঠিকমতো চিকিৎসা হয়েছে। ওই মহিলা ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁকে এবং তাঁর সন্তানকে বাঁচাতে অপারেশনের প্রয়োজন ছিল। সবরকম চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। কিন্তু ১৮ লাখ টাকা বিল কীভাবে হলে তার সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেনি ওই বেসরকারি হাসপাতাল। দেশের বেসরকারি হাসপাতালের একাংশের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নাম বড় অঙ্কের বিল ধরানোর নজির কম নয়। কয়েক দিন গুরুগ্রামের এক নামজাদা হাসপাতালে মারা যায় সাত বছরের কন্যা। ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকা বিল করে ওই হাসপাতাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.