সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমালয়ের শিবালিক পর্বতমালার পাদদেশে ছোট দু’টি গ্রাম। আধুনিকতার ছোঁয়া এখনও সেভাবে লাগেনি। বাসিন্দাদের জীবনযাপনও অতি সাধারণ। এভাবেই বেশ কাটছিল মুগলওয়ালি ও আদি বদরি গ্রামের সময়। তবে সম্প্রতি ছেদ পড়েছে সেই নিস্তরঙ্গ জীবনে। সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে প্রচারের আড়ালে থাকা হরিয়ানার এই দুই গ্রাম। কারণ সেখানেই খোঁজ চলছে পৌরাণিক সরস্বতী নদীর।
[কোথায় সরস্বতী? পাক অধীকৃত কাশ্মীরে খণ্ডহর জ্ঞানচর্চার এই পীঠস্থান]
হরিয়ানার শিল্পশহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বের ওই দুই গ্রামে হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর খোঁজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ‘সরস্বতী হেরিটেজ প্রজেক্ট’-এর অন্তর্গত সেখানে মাটি খুঁড়ে নদীটির ধারা খুঁজে চলেছেন বিশেষজ্ঞদের দল। ক্রেন, ডিগার ও ডাম্পারের মতো যন্ত্রের শব্দে কান পাতা দায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সরস্বতী দর্শনের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষ আসছেন। ইতিমধ্যেই ওই জায়গায় থাকতে শুরু করেছেন কয়েকশো সাধু। ফলে রীতিমতো একটি মেলার রূপ নিয়েছে জায়গাটি। সন্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য ‘কমিউনিটি কিচেন’-এর ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ওই জায়গার মাটির মাত্র পাঁচ ফুট নিচে জলধারার সন্ধান মেলে। তারপর থেকেই পুরোদমে চলছে পৌরাণিক নদীটিকে খোঁজার কাজ।
ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়েছে। টেস্ট স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে। তবে সেই জল কি আদৌ কোনও নদীর তা এখনও জানা যায়নি। চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ‘সরস্বতী যাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা করে হরিয়ানা সরকার। ইতিমধ্যে খননস্থল ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতীন গড়করি। গবেষকরা মনে করেন, সরস্বতী নদীর উৎস আদি বদরি গ্রামে। সেখান থেকে সমতলে চৌতাং নদীতে মিশে গিয়েছে পৌরাণিক নদীটি। তবে এনিয়ে কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ ধর্মের জিগির তুলে গল্পগাথার পিছনে অর্থের অপচয় করছে সরকার। তবে যাই হোক না কেন, বিশ্বাসে মিলায় তর্কে বহুদূর এই বাক্যটি মেনে নিয়েই পৌরাণিক নদীটির খোঁজ চালাচ্ছে সরকার।
[জাতীয় পতাকায় ১৭ বার বদল, কালী স্যারের জিম্মায় সযত্নে সেই ইতিহাস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.