সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস ঘটনা। ছেলের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তির কারণে তার ডান হাতের কবজিই কেটে নিল বাবা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের পাহাদ শরিফ এলাকায়। এই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ওই তরুণ। আহতের নাম খালেদ কুরেশি। আক্রমণকারী বাবার নাম মহম্মদ কায়ুম কুরেশি। ইতিমধ্যেই কায়ুম কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পাহাদ শরিফ থানায়। যদিও ঘটনার পর থেকে উধাও আহত তরুণের বাবা।
খালেদ কুরেশি (১৯) পেশায় কেবল টিভির অপারেটর। সম্প্রতি তিনি একটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। সারাদিন কাজের ফাঁকে মোবাইলেই বুঁদ হয়ে থাকতেন। নিত্যনতুন সিনেমা ডাউনলোড করে দেখাই খালেদের স্বপ্ন। রাতদিন যখন ফুরসত মিলত, তখনই সিনেমা দেখতে বসে যেত ওই কিশোর। ছেলের এই কর্মকাণ্ড বাবা কায়ুম কুরেশির নজর এড়ায়নি। প্রথম প্রথম ভেবেছিলেন, নতুন ফোন পেয়ে এমন করছে ছেলে। কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। দিন যত যাচ্ছিল মোবাইলে সিনেমা দেখা তত বাড়ছিল। একদিন তিনি দেখে ফেলন, মোবাইলে পর্ন দেখছে ছেলে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে চোখ আটকে রাখলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এইবলে একটা সময় ছেলেকে সাবধানও করেছিলেন কাইয়ুম কুরেশি। তবে তাতেও খালেদের মধ্যে কোনওরকম বদল আসেনি। শনিবার রাতে কায়ুম বাড়ি ফিরে দেখেন একই অবস্থা। মোবাইলটি কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় আচমকাই মারমুখী হয়ে ওঠেন খালেদ। বাবার হাতেই বসিয়ে দেয় লাঠির বাড়ি। সঙ্গে সহ্গেই মোবাইল-সহ পালিয়েও যান। বেশি রাতে বাড়ি ফিরে ফের সিনেমা দেখতে বসে যান তিনি। এনিয়ে সোমবার সকালে ফের বাবা ছেলের মধ্দৃযে ঝামেলা শুরু হয়। খেপে যান কায়ুম কুরেশি। ডান হাতেই থাকে ফোন। তাই ডান হাতটি না থাকলে ফোন ধরার ব্যাপার নেই। অভিযোগ, এরপর মাংস কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের ডান হাতের কবজিই কেটে দেন তিনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় খালেদকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাই খালেদকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কজনক। কায়ুম কুরেশির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারার আওতায় খুনের মামালা রুজু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.