সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিভাবকের প্রতি ব্যক্তিগত রাগ রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। শিক্ষকদের চাহিদামতো সৃজনশীল কাজও করতে পারেনি শিশুটি। এর জেরে চার বছরের লোয়ার কেজির পড়ুয়াকে ‘পাগল’ বলল শিক্ষকরা। অভিযোগ, ওই খুদে পড়ুয়াকে তার সহপাঠীদের সামনেই মানসিকভাবে হেনস্থা করেছে শিক্ষকরা। এখানেই শেষ নয়। অভিভাবক ও শিক্ষকদের বৈঠকেও ওই শিশুকে প্রকারান্তরে পাগল বলে শিক্ষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের ইলি প্লে-স্কুলে।
[দিল্লির বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য মেয়রের, ভাইরাল ভিডিও]
অভিযুক্ত শিক্ষকদের দাবি, ওই পড়ুয়ার ক্লাসে মন নেই। কিন্তু পড়া ছাড়া অন্য কাজে দারুণ সক্রিয়। আসলে ও মানসিকভাবে অসুস্থ। শিক্ষকদের এহেন বক্তব্য শোনার পরই শিশুটির মা জানান, সবেমাত্র চার বছর বয়স ওর। স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ওকে একটু সময় দেওয়া হোক।
এই প্রসঙ্গে পড়ুয়ার মা বলছেন, ‘শিক্ষকরা আমার ছেলেকে ওর সহপাঠীদের সামনেই বারবার পাগল বলছেন। গত ৮ তারিখের বৈঠকে আমি শিক্ষকদের জানাই ওর বয়স মাত্র চার। এখনই পরিণত আচরণ করা ওর পক্ষে সম্ভব নয়। সময় লাগবে। ওকে দিয়ে যদি কোনও সৃজনশীল কাজ করাতেই হয়, তাহলে বেশি করে সময় দেওয়া হোক। পাশাপাশি এই বয়সের বাচ্চা যতটা হাতের কাজ করার ক্ষমতা রাখে ততটাই ওকে করতে দিন। সেদিন বৈঠকে উপস্থিত অনেক অভিভাবকই আমার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তারপরেই আমার ছেলেকে সবার সামনে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হল।’
[আধাসেনাদের সাহায্যে কল্পতরু বি-টাউনের ‘খিলাড়ি’ বয়]
পরে অবশ্য জানা গিয়েছে, এই হেনস্থার পিছনে অন্য গল্প রয়েছে। শিশুটিকে স্কুলে ভর্তির সময়ই একটা গন্ডগোলের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো ক্লাসে শিশুটিকে ভর্তি নিতে জোরাজুরি করছিল। তবে সেই ইচ্ছেতে পাত্তা দেননি শিশুটির অভিভাবক। তারপর ভর্তির বিষয়টি ভালোভাবেই মিটে যায়। ক্লাস শুরু হতেই গোল বাধে। অভিযোগ, ক্লাসের অন্য পড়ুয়াদের সামনেই তাকে পাগল বলতে থাকে শিক্ষকরা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাতের কাজ করতে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের চাহিদামাফিক সেই সমস্ত হাতের কাজ সময়মতো জমা করতে পারেনি শিশুটি। তারপরেই তাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়।
স্কুলের ওয়েবসাইটে সৃজনশীল হাতের কাজ নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। তবে অভিভাবকদের বক্তব্য অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্লে-স্কুলের গাছিবৌলি শাখাতে একমাত্র সৃজনশীল কাজের ক্লাস হয়। জুবিলি হিলসে নয়।