সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের দেশে পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র এবং অসম সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালত বলছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ‘বিদেশি’ হিসাবে চিহ্নিত করার পরও কেন তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অভিবাসী নীতি’ কঠোরভাবে চালু হতেই প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার।
অসমের ৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলছে, “ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ভারতীয় অবৈধ অধিবাসীদের প্লেনে তুলে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারেন, তা হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপে সমস্যা কোথায়?” শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, আমেরিকা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারলে ভারত কেন পারছে না? তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে, কেউ বিদেশি হিসাবে চিহ্নিত হলে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া ৩০ দিনের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না।
আসলে এই মুহূর্তে অসমের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে ২৭০ জন ব্যক্তি আটক রয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৩ জন ইতিমধ্যেই বিদেশি নাগরিক বলে চিহ্নিত। বিচারপতিরা বলেছেন, একবার কোনও ব্যক্তিকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হলে যুক্তিযুক্ত হতে হবে পরের পদক্ষেপ। কাউকে অনন্তকাল আটকে রাখা যায় না। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার কথা মাথায় রাখতে হবে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, জীবনের অধিকার কেবল ভারতীয়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তা সকলেরই জন্য। এমনকী বিদেশিরাও এই অধিকার পান। আর সেই কারণেই তাঁদের আটকে না রেখে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করাও প্রশাসনের কর্তব্য। তাঁদের ঠিকানা না জানাটা অজুহাত হতে পারে না।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের অভিবাসী নীতি কার্যকর করার পর আমেরিকা থেকে কার্যত বিতড়িত হতে হচ্ছে বহু ভারতীয় অভিবাসীকে। আমেরিকায় থাকা অন্তত ১৮ হাজার ভারতীয়কে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এবার তাঁদের আমেরিকা থেকে ‘বিতাড়িত’ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ২০৫ জন ভারতীয়কে নাকি প্রথম দফায় ফেরানো হচ্ছে। তাঁরা যে ভারতের নাগরিক, সেটার পর্যাপ্ত প্রমাণও রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের হাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.