Advertisement
Advertisement

সম্প্রীতির নজির, একই মণ্ডপে হল গণেশের আরতি ও মহরমের আজান

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তাই দিলেন হিন্দু-মুসলিমরা।

In communal harmony message, Hindus, Muslims perform ‘aarti’, ‘azaan’
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 21, 2018 7:35 pm
  • Updated:September 22, 2018 2:23 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোরা একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান।’ কবি নজরুল ইসলামের লেখা লাইনগুলি যে শুধু বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তার প্রমাণ বহুবার দিয়েছে এ দেশ। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ দেশকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঠিকই। কিন্তু কয়েনের উলটো পিঠের মতোই হাতে-হাত মিলিয়ে শান্তির বার্তাও দিয়েছেন হিন্দু-মুসলিমরা। সেই সম্প্রীতির ছবি আরও একবার ফুটে উঠল।

[পাকিস্তানের মুখোশ খুলল আমেরিকা, কড়া পদক্ষেপের পথে ট্রাম্প]

মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার মামব্রা গ্রামে একই মণ্ডপে গণেশ পুজো এবং মহরমের আয়োজন করা হল। একদিকে চলল সিদ্ধিদাতার আরতি আর অন্যদিকে মহরমের আজান। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই এমন অভিনব আয়োজন করেছিলেন। ঈশ্বর কিংবা আল্লা নানা নামেই প্রার্থনা করা হয় তাঁকে। ধর্মের চাদর গায়ে চাপালেই বদলে যায় বন্দনার ভঙ্গি। কিন্তু তিনি তো এক এবং অদ্বিতীয়। তাই নিজেদের উৎসবে দুই সম্প্রদায়ের এমন অদ্ভুত মেলবন্ধন বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তাই দিল। একতা মিত্র মণ্ডলের এই আয়োজন প্রশংসা পাচ্ছে গোটা দেশের।

উৎসবে শামিল এক ভক্ত বলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলিম একই সঙ্গে গণেশ পুজো ও মহরম পালন করছি। একটি মাইক এবং লাউডস্পিকার ব্যবহার করে কখনও গণেশের বন্দনা চলছে তো কখনও নমাজ পড়া।” আরেক ভক্তর কথায়, “হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কোনও শত্রুতা নেই। রাজনৈতিক দলগুলিই বিষয়টিকে উস্কে দেয়। যে কোনও নির্বাচনের আগেই যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের গ্রামের প্রত্যেকে এমন অভিনব আয়োজনের সঙ্গে বরাবরই যুক্ত হতে ভালবাসি।” গোটা ঘটনার প্রশংসা করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রমেশ ধুমল। বলেন, “এমন পদক্ষেপ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করে। দেশ ও বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এঁরা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ