Advertisement
Advertisement
ধর্ষণের রাজধানী

‘ভারতকে এখন ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে গোটা বিশ্ব’, বিতর্কিত মন্তব্য রাহুলের

ভিডিওতে শুনুন রাহুল গান্ধীর বক্তব্য।

India Now Known as 'Rape Capital' of The World, Says Rahul Gandhi
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 7, 2019 9:29 pm
  • Updated:December 7, 2019 9:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে এখন গোটা বিশ্ব ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে। শনিবার কেরলের ওয়ানড় থেকে এই মন্তব্য করলেন স্থানীয় সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে হিংসা ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: দু’বছরে খতম ১০৩ অপরাধী, মায়াবতীর কটাক্ষের পালটা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের]

শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় উন্নাওয়ের ৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে যাওয়া নির্যাতিতার। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্তরা। এরপরই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। গতকাল সেখানেই মৃত্যু ওই যুবতীর। এরপর শনিবার সকালে থেকেই ধর্ষণে অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয় দেশজুড়ে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব থেকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় ধরনা দেন অখিলেশ। আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী পৌঁছে যান রাজ্যপালের কাছে। আর এরই মাঝে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে দেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রচণ্ড হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। গোটা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে বলে কটাক্ষ করেন।

Advertisement

এবিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘বিশ্বের কাছে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের অভিযুক্ত। কিন্তু, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই এই আদর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায় ও ভাষার মধ্যে বিভাজন এনে সংস্কৃতিকে অপমান করছেন। তিনি অর্থনীতি সম্পর্কেও কিছু বোঝেন না। ফলে আমাদের দেশের মানুষ আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। তবে আমি বলব আপনারা নিজেদের শক্তিকে ছোট করে না দেখে দেশের গতিমুখ বদলের চেষ্টা করুন।’

[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড নির্বাচন: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পালটা গুলিতে নিহত ১]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ