Advertisement
Advertisement
India Slams Bangladesh

‘নিজের চরকায় তেল দিন’, বাংলার হিংসা নিয়ে বাংলাদেশের ‘উদ্বেগে’র পালটা নয়াদিল্লির

ভারতের ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের অহেতুক মন্তব্য বরদাস্ত নয়, বুঝিয়ে দিল নয়াদিল্লি।

India Slams Bangladesh Remark On Bengal Violence
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 18, 2025 12:18 pm
  • Updated:April 18, 2025 12:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার হিংসা নিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা বাংলাদেশের। অহেতুক ভারতের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ ইউনুস প্রশাসনের। বাংলাদেশের এই ‘অহেতুক উদ্বেগ’ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া এল নয়াদিল্লির তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ বলে দেওয়া হল, ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অকারণ নাক না গলিয়ে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে আগে ভাবুক বাংলাদেশ।

ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের কিছু অংশে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, সেই হিংসার নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত থাকতে পারে বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। হিংসার নেপথ্যে বহিরাগত মদত থাকতে পারে বলে উঠে এসেছে গোয়েন্দা রিপোর্টেও। যদিও সরকারিভাবে বাংলার সরকার বা ভারত সরকার এই হিংসার নেপথ্যে বাংলাদেশকে দায়ী করে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তাও রাজ্যের হিংসা নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ইউনুস প্রশাসন। ওই বিবৃতিতেই পালটা ভারতে সংখ্যালঘু সংকট নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু ফেলতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে।

Advertisement

ইউনুস সরকারের তরফে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলিমদের উপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এইসব ঘটনার জেরে প্রাণহানি এবং সম্মানহানি দুটোই হচ্ছে। ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আর্জি জানাচ্ছি।’

এবার কড়া ভাষায় বাংলাদেশের কুম্ভীরাশ্রুর জবাব দিল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতি দিয়ে, ইউনুস সরকারকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন। নয়াদিল্লির তরফে বলে দেওয়া হল, ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অযাচিতভাবে নাক গলানোর আগে নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক বাংলাদেশ। নয়াদিল্লির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলার হিংসা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ অযাচিত। আমরা এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। এটা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার একটি প্রচ্ছন্ন এবং ভুল প্রচেষ্টা। বাংলাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধীরা অবাধে ও প্রকাশ্যে ঘুরছে। বাংলাদেশের উচিত অযাচিত মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement