সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ইসলামাবাদে ফিরছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বাসারিয়া। শনিবার ভারত থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছানোর কথা তাঁর। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জইশ জঙ্গিদের হামলার পর আলোচনার জন্য তাঁকে ভারতে ডাকা হয়েছিল।
গতকাল দিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একথা জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার। ভারতীয় হাই কমিশনারের ইসলামাবাদে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে আলোচনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বাসারিয়া ৯ মার্চ ইসলামাবাদে ফিরছেন। সেখানে পৌঁছে নিজের কাজে যোগ দেবেন তিনি।”
[‘১৩০ কোটি দেশবাসীই আমার প্রমাণ’, এয়ারস্ট্রাইক ইস্যুতে বিরোধীদের তোপ মোদির]
পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ৭৮টি গাড়ির কনভয়ে একটি বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি আদিল দার। এর ফলে শহিদ হন ৪৯ জন জওয়ান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের মদত দিতে নিষেধ করে আমেরিকা। দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়। ১২ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে থাকা জইশের জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প-সহ তিনটি জায়গায় এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর ফলে প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে দাবি করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
[প্রাক বিবাহ যৌনতা, পরকীয়াতেই এইডস! শিক্ষা দিচ্ছে পাঠ্যবই]
পরেরদিনই কয়েকটি এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। তাদের তাড়া করতে গিয়ে একটি মিগ ২১ বিমান নিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। সেসময় তাঁকে গুলি করে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে নামায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা। বেধড়ক মারধর করে আটকও করে। খবরটি প্রকাশ পাওয়ার পরেই জেনেভা চুক্তি মেনে তাঁকে দেশে ফেরানোর দাবি জানায় ভারত। চাপ তৈরি করা হয় আন্তর্জাতিক মহল থেকেও। এরপরই মার্চের ১ তারিখ অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান।