সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব শীঘ্রই হয়তো ধোঁয়া উড়িয়ে রেলযাত্রার অবসান ঘটতে চলেছে। ডিজেল চালিত রেল খুব তাড়াতাড়ি স্থান পেতে চলেছে নস্টালজিয়ায়। কারণ, রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত খরচ কমাতে দ্রুত ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল করে দেশের সব ট্রেন লাইনে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা হবে। এতে একদিকে যেমন রেলের খরচ কমবে অন্যদিকে তেমনি, রোজগারের সংস্থান হবে।
[আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে জ্বালানির দাম, সুরাহার খোঁজে মধ্যবিত্ত]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০৮টি সেকশনে মোট ১৬,৫৪০ কিলোমিটার রেলপথ বিদ্যুতায়ন হবে। এর জন্য সরকারের খরচ হবে ১২ হাজার ১৩৪.৫০ কোটি টাকা। কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ সালকে। এই টাকা খরচ করতে হলেও কাজ শেষ হওয়ার পর সরকারের ডিজেলের পিছনে খরচে বড়সড় সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন রেলমন্ত্রকের আধিকারিকরা। প্রতিবছর ডিজেলের খরচ বাবদ ১৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিজেল পুড়ে যে কালো ধোঁয়া তৈরি হয়, তা বন্ধ হয়ে পরিবেশ দূষণও কমবে।
বর্তমানে অধিকাংশ লোকাল ট্রেন বিদ্যুতে চললেও দূরপাল্লার অনেক ট্রেনই চলে ডিজেলে। কারণ হাওড়া-দিল্লি, দিল্লি-চেন্নাই রুটের অনেক রেললাইনে এখনও বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এর ফলে এই রুটের ট্রেনগুলি হয় পুরোপুরি ডিজেলের মাধ্যমে চালাতে হয় আর নাহয় মাঝপথে ইঞ্জিন বদলে ডিজেলে চালাতে হয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে রেল। রেল দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল হলে বিপূল পরিমাণ তেল আমদানির খরচ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। তাছাড়া গোটা দেশে বিদ্যুতে রেল চললে রেলের পরিষেবাও আরও গতিশীল এবং সুরক্ষিত হবে। তাছাড়া বিদ্যুতায়নের কাজ চলাকালীন প্রচুর মানুষ রোজগারও পাবেন। শ্রম দপ্তরের অনুমান বিদ্যুতায়ন এবং স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের কাজ চলাকালীন প্রায় ২০ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হবে।
[‘জেটলি-মালিয়া বৈঠক হয়েছিল সংসদে, সিসিটিভি ফুটেজেই মিলবে প্রমাণ’]
কিন্তু এসব শেষে প্রশ্ন হল, এখন যে এত ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয় তার কী হবে? রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিকল্প উপায়ে এই ইঞ্জিনগুলিকে ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া সম্ভব হলে, এই ইঞ্জিনগুলিকে বিদ্যুতের ইঞ্জিনে পরিবর্তিত করা হবে।