Advertisement
Advertisement
বিদ্যুতের চাহিদা

দেশে আর্থিক মন্দার জের, ১২ বছরে সবচেয়ে কম বিদ্যুতের চাহিদা

চাহিদা কমা ভারতের পক্ষে লজ্জাজনক বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

India's Power Demand Falls At Fastest Pace In 12 Years: Report

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 11, 2019 5:08 pm
  • Updated:November 11, 2019 8:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক মন্দার জেরে নাভিশ্বাস উঠতে চলেছে দেশবাসীর। সকালে বাজারে গেলেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে তার। আশাবাদীরা বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করলেও মন থেকে তা মানতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ পেল যে দেশে, বিদ্যুতের চাহিদা গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ১৩.২ শতাংশ কমেছে। আর্থিক মন্দার কারণে একাধিক বড় কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলেই বিদ্যুতের চাহিদা হু হু করে কমেছে। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের পক্ষে তা লজ্জাজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন: ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল জেএনএউ, দিল্লির রাস্তায় পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি পুলিশের]

কিছুদিন আগেই ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের হবে বলে জানিয়েছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, তারপরই তিনি জানান দেশের গড় আয় এই মুহূর্তে ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যাকে অর্থনৈতিক মন্দা বলেই ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর ফলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিল্পের অবস্থা খারাপ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে একের পর এক কারখানা। শিল্প ও কারখানা কমতে থাকায় স্বাভাবিকভাবে কমেছে বিদ্যুতের চাহিদাও।

Advertisement

সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি রিপোর্টে বিদ্যুতের চাহিদা কমার বিষয়টি পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত দেওয়া হিসেবে জানানো হয়েছে, আর্থিক মন্দার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর সবথেকে মজার কথা হল গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, নোটবন্দি ও জিএসটির কারণে বিজেপিশাসিত এই দুটি রাজ্যে ১৮ ও ২২ শতাংশ কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখোমুখি সংঘর্ষ লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী]

এপ্রসঙ্গে দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স ও পলিসির এক অধ্যাপক এনআর ভানুমূর্তি বলেন, ‘আর্থিক মন্দার কারণে সমস্যা অনেক গভীরে পৌঁছেছে। আর সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে শিল্পগুলি। ভয় হচ্ছে আগামী বছর এই প্রবণতা না আরও বেড়ে যায়।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ