সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা সমস্যা। রেলের তরফে সব তৈরি থাকলেও গোয়েন্দাবিভাগের ছাড়পত্র না মেলায় এখনই রাজধানী থেকে ভূস্বর্গের দিকে গড়াচ্ছে না রেলের চাকা। রেলমন্ত্রক থেকে এই খবর সামনে আসার পর আরও একবার কেন্দ্রকে কটাক্ষ শুরু করলেন বিরোধীরা। বক্তব্য, মোদি-শাহদের দাবি ৩৭০ ধারা রদের পর কাশ্মীর শান্ত। অথচ গোয়েন্দাবিভাগ জানাচ্ছে এখনই ট্রেন না চালাতে। তাহলে কোথায় শান্ত হল কাশ্মীর? কী লাভ হল ৩৭০ রদ করে?
শুরুতে ঠিক ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত বছর সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হয়ে যাবে বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ চিনাবের উদ্বোধন। যার সঙ্গে ভারতীয় রেলের মানচিত্রে জুড়ে যাবে কাশ্মীরও। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা থাকলেও সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি রেল। গত বছরের শেষ দিকেই অবশ্য তা সম্পন্ন হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বন্দে ভারতের ট্রায়াল রানও। নিজেদের যাবতীয় কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়ে ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছিল রেল। খবর ছিল পিএমও-র সবুজ সংকেত পেলে ফেব্রুয়ারি মাসেই হয়ে যেতে পারে প্রকল্পের উদ্বোধন। পাশাপাশি এমন খবরও ছিল যে, প্রধানমন্ত্রী পাঁজি দেখে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করার মতো ভাল সময় খুঁজে পেলেই হয়ে যাবে এই রেলপথের সূচনা। ১০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রতিদিন-এ সেই খবর বিস্তারিত প্রকাশও হয়। রেলের তরফে একটা কানাঘুসো ছিল যে হোলির দিন চমক দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো চর্চা করতে গিয়েই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানালেন, “আমাদের দিকের কাজ অনেকদিন আগেই শেষ। ফাইলও চলে গেছে পিএমও-তে। তবে শোনা যাচ্ছে ইন্টেলিজেন্সের কাছে সিকিউরিটি সংক্রান্ত কিছু খবর আছে। তাই এখনই চিনাব ব্রিজের উদ্বোধন বা দিল্লি থেকে কাটরা হয়ে শ্রীনগরে বন্দে ভারতের যাতায়াত চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” যা খবর, তাতে মার্চ তো বটেই, এপ্রিলেও দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দিকে বন্দে ভারত রওনা দিতে পারে কিনা সন্দেহ।
যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে, তাই প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ বলেন, “৩৭০ ধারা রদ করা প্রসঙ্গে আমরা সংসদেও অনেক প্রশ্ন করেছি। ফলে আদৌ কী হয়েছে, জানতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে শুধু বড় বড় বুলি আওড়েছেন, সেটাই তো প্রমাণ হয়ে গেল আবার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.