ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ধাঁচে জম্মু ও কাশ্মীরের আরও একাধিক জায়গায় জঙ্গি হামলার ছক! পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে এই হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল গোয়েন্দা বিভাগ। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি) এবং রেল সুরক্ষাবাহিনী (আরপিএফ)-এর তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ফের কাশ্মীরের মাটিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা টার্গেট করতে পারে অকাশ্মীরিদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ও কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর। গোয়েন্দাদের তরফে এই সতর্কবার্তা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা কাশ্মীরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এই সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর নরসংহার চালায় সেনার পোশাকে থাকা চার জঙ্গি। পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে খুন করা হয় ২৫ জনকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক স্থানীয় ঘোড়া চালকের। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর হামলার দায় স্বীকার করে ‘লস্কর ই তইবা’র ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। যদিও পরে এই সংগঠনের কয়েকজন হামলার দায় অস্বীকার করে। তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তান। গোয়েন্দাদের অনুমান হামলার আগে ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকবার রেইকিও করে ছিল জঙ্গিরা। এই হামলায় জঙ্গিদের স্থানীয় কেউ সাহায্য করে থাকতে পারে বলে বলে মনে করা হচ্ছে।
পহেলগাঁও হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই কাশ্মীরের কুলগাম, বারামুলা-সহ একাধিক জায়গায় জোরকদমে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সেনা ও জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জঙ্গির। পাশাপাশি শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। পহেলগাঁও হামলার তদন্তে নেমে ট্যুর গাইড ও ওই অঞ্চলে যারা ঘোড়া নিয়ে যান তাঁদের সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক জনকে। বহু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে, বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.