সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরে শিয়রে আবার সেই দিনটা। সাল ২০০৮। আরব সাগর পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে ১০ জঙ্গি। নির্বিচারে হামলা চালায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে। দেড়শোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬/১১-র সেই হামলায়। আজও সেই ক্ষত যন্ত্রণা দেয় ভারতবাসীকে। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে তার জন্য নয়া উদ্যোগ নিল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)। দেশের জলপথে এবার কড়া নজর রাখতে চলেছে ইসরো। কোনও সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে স্যাটেলাইট মারফত ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হবে উপযুক্ত স্থানে।
[গুলির শব্দে আতঙ্ক লন্ডনের অক্সফোর্ড সার্কাস স্টেশনে, জখম ১৬]
শুক্রবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, দেশের জলসীমার মধ্যে কোনও রহস্যজনক জাহাজ বা নৌকা প্রবেশ করছে কিনা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা নজরে রাখবে ইসরো। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এর জন্য ১,০০০টি ট্রান্সপন্ডার সরবরাহ করা হবে। যা সীমান্তে ২০ মিটারের মধ্যে সমস্ত সন্দেহজনক গতিবিধির উপর নজর রাখবে। আর নিয়মিত জলসীমার ছবি পাঠাতে থাকবে। যাতে ২৬/১১-র ঘটনা এ দেশের মাটিতে আর না ঘটতে পারে।
[আরও সহজ হবে জিএসটি, ঘটবে আমূল পরিবর্তন!]
গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ আন্দামান ও নিকোবর, দমন ও দিউ, লাক্ষাদীপ, পুদুচেরির মতো এলাকা নিয়ে ৭,৫১৬ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারতের জলসীমা। যার নিরাপত্তার উপর আরও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। এর জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ রাডার বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ৭৪টি স্বয়ংক্রিয় আইডি সিস্টেমও লাগানো হয়েছে৷ দেশের ১৯.৪০ লক্ষ মৎস্যজীবীর মধ্যে ১৮.৬০ লক্ষ মৎস্যজীবীকেই বায়োমেট্রিক পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে৷ নিরাপত্তার স্বার্থে ১৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে৷ সন্দেহজনক নৌকাগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ কালার কোডও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এবার ইসরোর পক্ষ থেকেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে৷ নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা আরও সুরক্ষিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এতে অবৈধ অনুপ্রবেশও আটকানো যাবে বলে মনে করছেন অনেকে৷
[বিজেপি সাংসদ হয়েও মোদিকে নজিরবিহীন আক্রমণ শত্রুঘ্ন সিনহার]