Advertisement
Advertisement

Breaking News

চুম্বনের আয়োজন, দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার দাবি বিজেপির

দেখুন সেই চুম্বনের ভাইরাল ভিডিও।

Jharkhand 'Kissing Competition' row:  BJP seek suspension of Two JMM MLA
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 12, 2017 4:43 am
  • Updated:September 20, 2019 11:23 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে দেশে ‘পদ্মাবতী’র মতো সিনেমা একাধিক রাজ্যে নিষিদ্ধ। যে দেশে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের রমরমা। সে দেশে চুম্বনের আয়োজন হয়েছিল। তাও আবার ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের এক অখ্যাত আদিবাসী গ্রামে। এই আয়োজন করার ‘অপরাধে’ সমালোচকদের কাঠগড়ায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক সিমোন মারান্ডি। আয়োজনে উপস্থিত থেকে সমালোচিত বিধায়ক স্টিফেন মারান্ডিও। তাতে চটেছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। দু’জনেরই সাসপেনশনের দাবি তুলেছে গেরুয়া শিবির।

[সেলিব্রিটি ডিজের মুখোশের আড়ালে কীভাবে মাদকের কারবারে মেতেছিল নিখিল?]

Advertisement

পাকুড়ের লিট্টিপাড়ার ডুমারিয়া গ্রামে তিন দিনের একটি আদিবাসী মেলার আয়োজন হয়েছিল। মেলার মুখ্য আকর্ষণ ছিল এই চুম্বন। জানানো হয়েছিল, চুম্বনরত অবস্থায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে আদিবাসী দম্পতিকে। সবার আগে যাঁরা পৌঁছবেন তাঁরা পাবেন ৯০০ টাকা পুরস্কার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রতিযোগীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৭০০ ও ৫০০টাকা। শর্ত একটাই প্রত্যেককে বিবাহিত হতে হবে। প্রায় ২০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। ৫০ মিটার দূরত্বের এই প্রতিযোগিতা ঘিরে দর্শকদের মধ্যে ছিল তুমুল কৌতুহল। মেলার অন্যান্য বিনোদন বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। জয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন বিধায়ক। কেন এই প্রতিযোগিতা? প্রশ্নের উত্তরে সিমোন মারান্ডি জানান, বর্তমান সময়ের ডিভোর্সের হার বাড়ছে। আদিবাসীদের মধ্যেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। তাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বাড়াতেই এমন উদ্যোগ।

Advertisement

[OMG! প্রেমিকের মধ্যে স্বামীকে খুঁজে পেতে এ কী কাণ্ড মহিলার!]

তবে এতে বেজায় চটেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। রাঁচিতে সাংবাদিকদের বিজেপি নেতা হেমলাল মুর্মু জানান, সিমোন মারান্ডি ও স্টিফেন মারান্ডি সাঁওতাল পরগনার সংস্কৃতির অবমাননা করেছেন। এই চুম্বন নারীত্বের অপমান বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক দুই বিধায়ককে। একইসঙ্গে শীতকালীন অধিবেশনে তাঁদের কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। হেমলালের সংযোজন, যে গ্রামে ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে হাত পর্যন্ত মেলায় না সেখানে এমনটা করার জন্য দুই বিধায়কের উচিত গ্রাম প্রধানের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়া। একই সুর শোনা যায়, ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নীলকণ্ঠ সিং মুন্ডার কথাতেও। এই প্রতিযোগিতায় পুরস্কার দেওয়াতেও সিমোনের উপর তিনি ক্ষু্ব্ধ।

[ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস-পাকিস্তান বৈঠক বিতর্কে তোপ মনমোহনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ