ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ’ (মুডা)-এর জমি দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী পার্বতী বিএম-সহ বেশ কয়েকজনকে নোটিস দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জিতে দায়ের হওয়া এক মামলার প্রেক্ষিতে এই নোটিস জারি করা হয়েছে বলা জানা যাচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ হাজার কোটির জমি কেলেঙ্কারি মামলায় সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য দুই অভিযুক্তকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিল কর্নাটকের লোকায়ুক্ত। লোকায়ুক্ত পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ক্লিনচিট দেওয়া হলেও। পুলিশের সেই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে ইডি। এই মামলায় সম্প্রতি আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলায় লোকায়ুক্ত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকায় এখন এই মামলায় কোনও রায় দেবে না বলে জানায় আদালত। বলা হয় পূর্ণ রিপোর্ট জমা পড়ার পরই চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে।
এহেন ডামাডোলের মাঝেই স্নেহাময়ী কৃষ্ণা নামে এক মামলাকারী এই লোকায়ুক্ত পুলিশের হাতে থাকা তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে স্থানান্তরের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সিঙ্গেল বেঞ্চ সে মামলা খারিজ করলে পালটা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। এই আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার নোটিস জারি করেছে হাই কোর্ট। সিদ্দামারাইয়া, তাঁর স্ত্রী ও আরও দুই অভিযুক্তের পাশাপাশি নোটিস পাঠানো হয়েছে সিবিআই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও লোকায়ুক্ত পুলিশকে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীর তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, লোকায়ুক্ত পুলিশ রাজ্য সরকারের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাই এই তদন্ত কোনওভাবেই নিরপেক্ষ হতে পারে না। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন।
কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সেই মতো জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সূত্রে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ায় এই মামলায়। সেই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর পর কর্নাটকের লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে লোকায়ুক্ত পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি উঠল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.