সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি কোনও প্রত্যাশা নেই। কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তানিয়েও নেই কোনওরকম মাথাব্যথা। এবারেই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। তবুও শনিবার বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না বেঙ্গালুরুর যুব সমাজ। তাই বললে কি চলে? কংগ্রেস না বিজেপি যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যুবসমাজ যেন ভোট বিমুখ হয়ে না পড়ে, সেদিকেই নজর রাখলেন দেশের সিলিকন ভ্যালির ব্যবসায়ীরা। হ্যাঁ, নতুন ভোটাররা ভোট দিতে এলে পাবেন, মশলা দোসা ও গরমাগরম কফি।এমনিতেই কফি পানে এগিয়ে বেঙ্গালুরু। এহেন অফার বিনিপয়সায় মিললে খুশি তো হওয়ারই কথা। তাই একবাক্যে ভোট দিতে রাজি জেনারেশন ওয়াই। শুধু নতুনদের জন্যই নয়, ভোটদানে উৎসাহিত করতে পুরোনো ভোটারদেরও দেওয়া হবে কমপ্লিমেন্টারি কফি। ভোট দিয়ে কফি পান করে বাড়ি ফিরতে পারবেন কর্নাটকবাসী। এহেন সুয়োগ হেলায় হারানোর কোনও অর্থই নেই। তাই এদিন ভোটের লাইনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
[ইন্দোরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত]
বলাবাহুল্য, কফি, দোসার পাশপাশি জেনারেশন ওয়াইকে ধরে রাখার জন্য সাইবার কাফেতে ইন্টারনেট সার্ফিং করতে পারবেন বিনামূল্যে। যদি কোনও ফোটোকপির প্রয়োজন হয় তাহলেও মিলবে ছাড়ের সুযোগ। এককথায় ভোট দিতে এসে লাভবানই হবেন নয়া ভোটাররা। পুরোনো ভোটাররাও কফি পান করে স্বস্তি পেতে পারেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধানসৌধ লাগোয়া রেস্তরাঁর মালিক কৃষ্ণরাজ এসপি বলেন, কয়েকদিন আগে একদল নতুন ভোটারকে আলোচনা করতে শোনেন, ভোট দিয়ে কি হবে। এখন যে অবস্থায় রয়েছে রাজ্য, ভোটের পরে তার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তাদেরও খুব একটা লাভবান হওয়ার উপায় নেই। তাই ভোট দিয়ে দরকার নেই। এটা শোনার পরই তিনি ওই যুবকদের বোঝানোর চেষ্টা করে। সকলেই জানত ভোটকেন্দ্র বিধানসৌধের উলটোদিকেই রয়েছে হোটেল নিসর্গ গ্রান্ড পিওর। যার মালিক কৃষ্ণরাজ এসপি। তখনই তারা তাঁর কাছে বিনামূল্যে দোসা ও কফির আবদার জানায়। এককথায় সেই আবদার মেনে নেন তিনি। তবে কোনওরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। যুবসমাজ যেন রাজনীতির আবর্তে থেকে সরে না যায়, তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষ্ণরাজ এসপি। শুধু খাওয়াদাওয়াই নয়, বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি ব্যবসাযী সমিতির পক্ষ থেকে গোলাপ ফুল ও গাছের চাড়াও দেওয়া হয়।