সোমনাথ রায়, পহেলগাঁও: আর কোনও রেয়াত নয়, দেখামাত্রই নিকেশ! পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় হামলার আবহে ভূস্বর্গের ১৪ জেহাদিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। যারা বারবার কাশ্মীরকে উত্তপ্ত করেছে। হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে ভূস্বর্গকে। এমনকী, পাক জেহাদি গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য় করে। এবার আর রেয়াত নয়, এই জেহাদিদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কারা রয়েছে এই তালিকায়?
আদিল রহমান ডেন্টু: সোপোর এলাকায় ২০২১ সাল থেকে সক্রিয় লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার।
আসিফ আহমেদ শেখ: অবন্তিপোরায় ২০২২ সাল থেকে জইশ-ই-মহম্মদের জেলা কমান্ডার। একাধিক নাশকতার সঙ্গে যুক্ত।
এহসান আহমেদ শেখ: পুলওয়ামা এলাকায় ২০২৩ সাল থেকে লস্কর-ই-তইবার হয়ে নাশকতা চালাচ্ছে। গোয়েন্দারা তার খোঁজে হন্যে। খোঁজ পেলেই গুলি চালানো হবে অথবা তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
হরিশ নাজির: পুলওয়ামায় সক্রিয় লস্কর জেহাদি। দীর্ঘদিন ধরেই গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে।
আমির নাজির ওয়ানি: পুলওয়ামার জইশ-ই-মহম্মদ জেহাদি।
ইয়ার আহমেদ ভাট: পুলওয়ামার জইশ-ই-মহম্মদ জেহাদি।
আসিফ আহমেদ কান্ডে: সোপিয়ানের হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে জেহাদি গোষ্ঠীতে যোগ। পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাহায্য়ের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
নাসির আহমেদ ওয়ানি: সোপিয়ানে লাগাতার নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। লস্কর জঙ্গি। পাকিস্তানে জেহাদিদের সাহায্য় করে।
শাহিদ আহমেদ কুটে: লস্কর এবং দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের জঙ্গি। ২০২৩ সাল থেকে সোপিয়ানে সক্রিয়।
আমির আহমেদ দার: সোপিয়ানের স্থানীয় জেহাদি। লস্কর এবং টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত। বিদেশি জেহাদিদেরও সাহায্য করে।
আদনান সাফি দার: সোপিয়ানে সক্রিয় জেহাদি। ২০২৪ সালে লস্কর এবং টিআরএফ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। পাকিস্তানি হ্যান্ডলার এবং জেহাদিদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে।
জুবেইর আহমেদ ওয়ানি: অনন্তনাগের হিজবুলের কমান্ডার। এ প্লাস স্তরের জেহাদি। ২০১৮ সাল থেকে সক্রিয়। জঙ্গিদের সাহায্য় করা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা যুক্ত।
হারুন রশিদ গনি: অনন্তনাগের হিজবুল জঙ্গি। কয়েক বছর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। খোঁজ চালাচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা।
জুবেইর আহমেদ গনি: কুলগাঁওয়ের সক্রিয় লস্কর এবং টিআরএফ জঙ্গি। নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা এবং টার্গেট কিলিংয়ের মাস্টার মাইন্ড।
পহেলহাগাঁও হামলার সময় দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের সাহায্য়েই ভূস্বর্গে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পেরেছে জেহাদিরা। তাই এবার কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গিদের সমূলে উৎপাটনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা ও পুলিশ। তাই এবার উপত্যকার স্থানীয় জেহাদিদের খুঁজে নিকেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.