সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের কথা বলতে বলতে বারবার কেঁদে ফেলছেন। গায়ে জড়ানো গামছা দিয়ে চোখ মুখছেন। কখনও আবার সেই গামছা দিয়েই মুখ ঢেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘বাইট’ দিচ্ছেন। গলা ধরে আসছে কথা বলতে গিয়ে। তবু জনে জনে বলছেন, ‘আমার মেয়েকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই। আরও কঠিন কোনও সাজা হলে তাই চাই।’ এমনটাই বলছেন কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে নিহত আসিফার বাবা।
একা আসিফার বাবা নয়, তার বোনও আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পুলিশের চার্জশিটে এলাকার সংখ্যালঘু মানুষের নাম থাকে আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে আসিফার গোটা পরিবার। সংবাদমাধ্যম বলে বারবার পরিচয় দেওয়ার পর আসিফার বোনের একমাত্র প্রতিক্রিয়া, ‘এরকম ভয় কোনওদিন পাইনি।’ এলাকার একাংশের আইনজীবী আসিফার পরিবারের উপর চাপ তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকে চার্জশিট জমা দিতেও বাধা দেয় স্থানীয় আইনজীবীরা। আজ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীরা মুখ্য বিচারপতির কাছে আবেদন করেন, কাঠুয়া গণধর্ষণের অভিযুক্তদের যারা আড়াল করতে চাইছে, সেই দুর্নীতিগ্রস্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হোক। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, তার জন্য যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করতে হবে।
I miss my daughter everyday. Those responsible for killing my daughter should be hanged till death: Father of #Kathua rape and murder victim pic.twitter.com/OGSVdRWxfq
— ANI (@ANI) April 13, 2018
গত ১৭ জানুয়ারি আসিফার দেহ উদ্ধার হয়। সাঞ্জি রাম, এক প্রাক্তন সরকারি চাকুরে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করে। তাকে সাহায্য করে এক পুলিশকর্মী। আসিফাকে হত্যা করে স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া। অন্তত পুলিশের তাই জানাচ্ছে। ধৃতদের টেলিফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, আসিফাকে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়েছিল। সাঞ্জির ছেলে বিশাল মীরাটে পড়াশোনা করত। আসিফাকে ধর্ষণ করতে সে সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে কাঠুয়া আসে। ধৃত ৮ জনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.