Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপারহিট কেরলের ঠাকুমা, ছিয়ানব্বই বছরে পরীক্ষায় পেলেন ৯৮শতাংশ নম্বর

বৃদ্ধার হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷

Kerala: 96-year-old Karthiyani Amma tops literacy exam with 98 marks
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 1, 2018 2:06 pm
  • Updated:November 1, 2018 2:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সের হিসেবে ন্যুব্জ তিনি৷ যাকে বলে থুড়থুড়ে বুড়ি৷ কিন্তু রেজাল্টের পাতায় তিনি একাই একশো৷ বুঝতে পারছেন না তো? কেরলের এই বৃদ্ধার কথা শুনলে অবাক হবেন সকলেই৷ ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ছিয়ানব্বইয়ের বৃদ্ধা৷ কচিকাচাদের ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ৷ কেরলের এই ঠাকুমার কাণ্ডই এখন টক অফ দ্য টাউন৷

[সর্দার বল্লভভাইয়ের সাড়ে তিন ইঞ্চির মূর্তি গড়ে তাক লাগালেন শিল্পী]

কেরলের আলাপ্পুঝা জেলার মাত্তম গ্রামের বাসিন্দা কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাই। কারতিয়ানিয়াম্মা কোনও দিন স্কুলেই যাননি। ছেলের আয় সংসার চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ পেট চালাতে হয় নিজেকেই৷ তাই বাধ্য হয়ে এই বয়সেই বাড়ির আশপাশের মন্দিরগুলিতে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তবে হঠাৎই মোড় ঘুরল জীবনের৷ ভাবলেন পড়াশোনা করবেন৷ জ্ঞান অর্জনের তো আর কোনও বয়স হয় না৷ তাই সাক্ষরতা মিশনের ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন কারতিয়ানিয়াম্মা। তবে ঠাকুমা একা নন, নিয়মিত তাঁকে পড়াশোনায় সাহায্য করে গিয়েছেন, তাঁর দুই নাতনি৷ তারপরই ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্পেরই চতুর্থ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষায় প্রথম হলেন ওই বৃদ্ধা। নিজে হাতে ওই বৃদ্ধার হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ সোশ্যাল সাইটে আম্মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেরলের পর্যটনমন্ত্রী৷ কেরলের আম্মার মতোই আর ৪২ হাজার ৯৩৩জন পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ আলাফুজা গ্রামের অধিকাংশ পরীক্ষার্থী তাতে উতরেও গিয়েছেন৷

Advertisement

[কুলফি বিক্রি করেই সংসারের হাল টানছেন হরিয়ানার অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত বক্সার]

প্রথম হয়ে ৯৬ বছরের ঠাকুমা তো রীতিমতো আপ্লুত৷ খুশি হয়ে ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘যখন ২০১৬ সালে আমার ছোট মেয়ে আম্মিনিয়াম্মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে, তখনই আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই৷ আমি ভাল নম্বর পেয়ে খুশি। আমি এখন জানি কীভাবে লিখতে, পড়তে ও অঙ্ক কষতে হয়।’’ বৃদ্ধার একটাই আক্ষেপ, তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন কোনও মেয়েই স্কুলে যেতেন না৷ তাই পড়াশোনা হয়নি৷ সেই সময় পড়াশোনার সুযোগ পেলে, জীবনটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো বলেই মত কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাইয়ের। ঠাকুমার এই সাফল্য যাঁরা শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকেন, তাঁদের উদ্বুদ্ধ করবে বলেই মত সকলের৷ 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ