Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেরলের স্পিকারের ৫০ হাজারি চশমা! বিতর্কে ‘সর্বহারা’ দল

অথচ, এই দলেরই পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার দেশের সবচেয়ে 'গরিব' মুখ্যমন্ত্রী।

Kerala Speaker's Glasses Cost Almost Rs. 50,000
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 4, 2018 5:12 pm
  • Updated:February 4, 2018 6:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দামি কলম, ঘড়ি ব্যবহার করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বঙ্গ সিপিএমের ‘তরুণ তুর্কি’ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সর্বহারা দলের অন্যান্য নেতারাও যে কেউ কারও চেয়ে কম যান না, সে কথাই ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। বহুমূল্য, ব্র্যান্ডেড জিনিসপত্র ব্যবহারের নিরিখে সিপিএমের এক নেতা বলেন আমায় দেখ, তো আরেকজন বলেন আমায় দেখ গোছের দশা। তবে আপাতত বঙ্গ নয়, বিতর্কের জোড়া ফলায় বিদ্ধ কেরল সিপিএম।

কী ঘটেছে কেরল সিপিএমের অন্দরে?

Advertisement

একজোড়া দামি চশমা বিতর্কে কেরলের দুই শীর্ষ সিপিএম নেতা। একদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা যে চশমা ব্যবহার করেন তার দাম ২৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে, বিধানসভার স্পিকার শ্রীরামকৃষ্ণণের চশমার দাম ৫০ হাজার টাকা। দুজনের দু’জোড়া ‘চোখ আগলে’ রাখার খরচের বহর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে আরটিআইয়ের জেরে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিজেদের চোখ সামলে রাখতে নেতারা দামি চশমা ব্যবহার করতেই পারেন। এতে বিতর্কের কী রয়েছে? কিন্তু মজাটা হল, এই দুই মূর্তিমানের চশমার খরচই মেটানো হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে। অথচ, এই দলেরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার দেশের সবচেয়ে ‘গরিব’ মুখ্যমন্ত্রী। যাঁর ব্যাঙ্কে মাত্র ২৪১০ টাকা রয়েছে।

Advertisement

[সরকারি চাকরি হারাতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের তফসিলি সম্প্রদায়ের ১২ হাজার কর্মী]

বিতর্কের মুখে পড়ে সাফাই দিতে আসরে নামেন দুই নেতাই। শ্রীরামকৃষ্ণণ বলছেন, ‘বিধানসভার কাজকর্ম চালাতে আমার অসুবিধা হয়। আমি ঠিকমতো দেখতে পাই না। সামনের দিকে বসে থাকা ব্যক্তিদের দেখতে আমাকে প্রায়ই পজিশন পালটাতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার তো হাঁটতেও কষ্ট হয়। ঠিকমতো দেখতে পাই না বলে। আমার চিকিৎসক আমাকে একটু ভাল চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।’ কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে গিয়ে যে কেরল সরকারের কোষাগার থেকে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। সে রাজ্যের মিডিয়ার সৌজন্যে এই ঘটনা লাইমলাইটে আসে।

বিতর্কে মুখে বেজায় অস্বস্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজাও। রাজ্য সরকারকে কাঠুপুরম্বার বাম মহিলা বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর মেডিক্যাল বিলের খরচ বাবদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা মেটাতে হয়েছে। তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনে সমাজকর্মী ভি বিনু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজ্যের এক মন্ত্রী ও স্পিকারের কাছ থেকে এরকম আচরণ অনভিপ্রেত। একজন স্পিকারের উপর ১৪০ জন বিধায়কের মেডিক্যাল বিল মেটানোর গুরুদায়িত্ব থাকে। আর তিনিই কি না সাধারণ মানুষের করের টাকা কীভাবে একটু কম খরচ করা যায়, সে বিষয়ে ভাববেন না?

[ছবিতে কেরলের স্পিকার রামকৃষ্ণণ]

[টয়লেটেও জিএসটির কোপ, রেস্তরাঁর বিল দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ