Advertisement
Advertisement

Breaking News

Keshubhai Patel

প্রয়াত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

গত মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা।

Keshubhai Patel, former chief minister of Gujarat passes away at 92 | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 29, 2020 2:29 pm
  • Updated:October 29, 2020 2:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ চলে গেলেন গুজরাটের (Gujarat) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল (Keshubhai Patel)। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। গত মাসেই তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে তিনি উপসর্গহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত আহমেদাবাদের এক হাসপাতালে ভরতি করা হয় প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি।

হাসপাতাল প্রশাসনের তরফে ড. অক্ষয় কিলেদার অবশ্য জান‌িয়ে দিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি কেশুভাইয়ের। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আর ওঁর সংজ্ঞা ফেরানো যায়নি। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ওঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। উনি করোনায় মারা যাননি।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি! মন্দার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী]

১৯৯৫ সালে প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন মোদি। পরে কেশুভাই বিজেপি ছেড়ে নিজের দল ‘গুজরাট পরিবর্তন পার্টি’ গঠন করেন ২০১২ সালে। ২০১২ সালেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ালেও জিততে পারেননি। শেষপর্যন্ত আবার বিজেপিতেই ফিরে গিয়েছিলেন গুজরাট বিধানসভার ছ’বারের এই বিধায়ক। ২০১৪ সালে আবারও গেরুয়া শিবিরেই প্রত্যাবর্তন ঘটে কেশুভাইয়ের। 

তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘আমাদের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কেশুভাই প্রয়াত হয়েছে। আমি গভীরভাবে বেদনা ও শোকাহত। তিনি এমন এক দুর্দান্ত নেতা ছিলেন যিনি সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য ভাবতেন। তিনি তাঁর জীবন গুজরাটের উন্নয়ন ও প্রত্যেক গুজরাটির ক্ষমতায়নের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। কেশুভাই গুজরাটের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরেছিলেন জনসংঘ ও বিজেপির শক্তি বাড়াতে। এমার্জেন্সির সময় আপ্রাণ লড়াই করেছিলেন। কৃষকদের কল্যাণের বিষয়টি তাঁর হৃদয়ের খুব কাছাকাছি ছিল। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী, সব পদে থাকাকালীনই তিনি কৃষকদের জন্য বহু কল্যাণকর পদক্ষেপ করেছেন।’’

 

[আরও পড়ুন: ২০% ফি কমাতেই হবে বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল শীর্ষ আদালতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ