সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশ নিয়ে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেনাপ্রধান। রাজধানীতে তাঁর এই হুঙ্কারের পাশাপাশি গুজরাটের ভদোদরার বাসিন্দারা প্রতিবেশী দেশকে সবক শেখাতে চান। তবে তাদের প্রতিবাদের ধরনটা একটু আলাদা। মকরসংক্রান্তিতে তাঁরা বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানকে।
[জওয়ানের হত্যার বদলা, সাত পাক সেনাকে নিকেশ করল ভারত]
ভদোদরার বাসিন্দারা ঘুড়ি এবং বেলুন উড়িয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়দের বক্তব্য কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে পাকিস্তান যা করছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কুলভূষণকে দেখতে যাওয়া তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে আচরণ অমানবিকতার চূড়ান্ত নির্দশন। স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কুলভূষণের স্ত্রীর হাতের চুড়ি এমনকী মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় জুতোটিও। পরে বহুবার তা চেয়েও ফেরত পায়নি ভারত। এর প্রতিবাদে ভূমিপুত্ররা মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে বিশেষ ধরনের ঘুড়ি এবং বেলুন উড়িয়েছেন। ঘুড়ি এবং বেলুনে লেখা হয় ‘চপ্পল চোর পাকিস্তান’। ভদোদরা থেকে অনেকটাই দূরে পাক সীমান্ত। স্থানীয় বাসিন্দা জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি মনে করেন এইসব বেলুন ও ঘুড়ি হয়তো এক সময় পাক ভূখণ্ডে পৌঁছে যাবে। তখন ওপারের লোক জানবেন কীভাবে এক ভারতীয়র উপর অত্যাচার চালাচ্ছে সেদেশের প্রশাসন। সংক্রান্তির মতো এক পুণ্যতিথিতে তাঁদের আশা কুলভূষণ মুক্তি পাবেন।
[কুলভূষণের পরিবারকে অপমান, পাক দূতাবাসের সামনে ছেঁড়া চটি নিয়ে প্রতিবাদ]
কুলভূষণের স্ত্রীর চপ্পল এবং জুতো কেড়ে নেওয়ার পর থেকে থেকে নেটদুনিয়ায় তৈরি হয় #ChappalChorPakistan নামে এক হ্যাশট্যাগ। ভদোদরার বাসিন্দারা জানান তারাও সেই প্রতিবাদের শরিক হতে চান। এই ইস্যুতে কয়েক দিন আগে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অনাবাসী ভারতীয়রা। একগাদা ছেঁড়া চটি পাক দূতাবাসের সামনে জড়ো করেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের বক্তব্য ছিল, বিপর্যস্ত একজন মহিলার জুতোও যখন পাকিস্তান ছাড়তে চায় না, তখন তা নিশ্চয়ই পাক অফিসারদের কাজে লাগবে। পাকিস্তান সম্বন্ধে একটা কথা চালু আছে, তা হল পাকিস্তান আমেরিকার থেকে টাকা নেয়, আর ভারতের থেকে জুতো। ভদোদরার বাসিন্দারাও এক বাক্যে জানিয়েছেন ঘুড়ি এবং বেলুন দিয়ে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে হতে থাকলে পাকিস্তান চাপে পড়তে বাধ্য হবে।